Monday, May 21, 2012

উত্তরা সুষুম্নাই উত্তরাপথ; উত্তরায়ণের পথ; সাক্ষাৎ ব্রহ্মমার্গ:-

Cont..... (2)


এবার সাধনার কথা আসা যাক। মাথাটা চিৎ করে দিলে যেখানটায় ভাঁজ  বা  টোল খায় সেই স্থানটিকে মস্তকগ্রন্থি বলে। এইখানে আঞ্জাচক্রের কেন্দ্র।বৃত্তমধ্যস্থ ক্রশ চিহ্নের দ্বারা চিত্রে এই স্থানটিকে সূচিত করা হয়েছে।ধ্যানবিন্দু উপনিষদের ঋষির উপলব্ধি, এই স্থানটিই আত্মার অধিষ্ঠান ক্ষেত্র--- হৃদিস্থানে আঞ্জাচক্রং বর্ততে। তন্মধ্যে রেখাবলয়ং কৃত্বা জীবাত্মরূপ ং জ্যোতিরূপমণুমাত্রং বর্ততে। 


ইতর যোগীরা হৃদয় বলতে বক্ষস্থলের মধ্যস্থলকে বোঝেন এবং তদনুযায়ী ধ্যানের নির্দেশ দেন। ভ্রান্ত নির্দেশ। শ্রীকৃষ্ণ গীতাতে- ঈশ্বরঃ সর্বভূতানাং হৃদ্দেশে অর্জুন তিষ্ঠতি বাক্যে এই আঞ্জাচক্রকে যে প্রকৃত হৃদয় বলেছেন, শ ংকরাচার্য তৎকৃত গীতার ভাষ্যে তা স্পষ্টীভূত করেছেন। আঞ্জাচক্রই প্রকৃত হৃদয় এবং এইটিই আত্মার অধিষ্ঠান ক্ষেত্র। প্রকৃত অধ্যাত্মসাধনা অর্থাৎ আত্মার অধিরোহনপর্ব এখান থেকেই শুরু হয়।


সারা ভারতবর্ষ জুড়ে নানা মঠ মিশন প্রকাশিত ও প্রচারিত নানাবিধ যোগশাস্ত্রের কৃপায় ধর্ম পিপাসু নরনারীর মন কান ঞ্জান ইড়া পিঙ্গলা সুষুম্না, মূলাধার স্বাধিষ্ঠান মণিপুর অনাহত বিশুদ্ধ আঞ্জা ও সহস্রার প্রভৃতি শব্দগুলির সম্বন্ধে বিচিত্র বিচিত্র ধারণা ও সিদ্ধান্ত করে বসে আছে। মহাগুরু মাতাপিতাকে ধরে উচ্চতম আধ্যাত্মিক মণ্ডলে যাবার যে বৈদিক মহাযোগের কথা বৈদিক ঋষিরা ঐ সম্বন্ধে যা বলতেন সেগুলি হল---


To  be  Continued.......

No comments:

Post a Comment