Friday, February 22, 2013


মাতাপিতাই  জন্মদান  করেছেন, তাঁরাই  পালন কর্তা, সন্তানের  কাছে তাঁরাই  ব্রহ্মস্বরূপ। অতএব  তাঁদেরকেই  প্রণাম  করি, তাঁদেরই  পূজা করি। সাক্ষাৎ  দেবতাকে  পরিত্যাগ  করে  যে  ব্যক্তি  অসাক্ষাৎ অদৃশ্য দেবতার  সেবা  করে  সেই  পাপাত্মা  পরলোকে  তির্যগ্‌যোনি  প্রাপ্ত হয়। পিতা  সর্বদেবের  আবাসভূত  সুমেরু  পর্বত  হতে  শ্রেষ্ট, তিনি সাক্ষাৎ  সনাতন  ধর্মের  মূর্তিস্বরূপ, অতএব  তাঁর  পাদোদক  স্নানের যে  ফল, তার  ষোড়শাংশও  গঙ্গা  স্নানে  হয়  না। কাশী  ওঁকারেশ্বর প্রভৃতি  মুক্তিক্ষেত্রাদিতে  শতশত  জ্যোতির্লিঙ্গ  দর্শনে  যে  ফল  হয়, পিতামাতা  দর্শনের  ফল  তার  কোটিগুণের  অধিক। দ্বাত্রিংশ  সংখ্যক শালগ্রাম  শিলা স্পর্শে  যে  ফল, পিতামাতাকে প্রদক্ষিণ  করলে তার কোটিগুণ  ফল  লাভ  হয়।

https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191

Tuesday, February 12, 2013


তারকব্রহ্ম নাম 'রাম' শব্দ ঔর 'ওঁ' বরাবর একই জিনিষ।

যথৈব বটবীজস্থ প্রাকৃতশ্চ মহাদ্রুমঃ।
তথৈব রামমন্ত্রস্থ বিদ্যতে চরাচরং জগৎ।।

অর্থাৎ যেমন বটগাছের একটি বীজের মধ্যে ঐ বিরাট মহীরুহের শাখা প্রশাখা পাতা ও ফল সুপ্ত থাকে, তেমনি রাম শব্দের মধ্যে এই বিশ্ব চরাচর সুপ্ত আছে।

তাই 'রাম' শব্দ বিশ্লেষণ করলে পাই---

রাম = র্‌ + আ + ম্‌ +অ।
= র্‌ + অ + অ + ম্‌ + অ।।

স্বরবর্ণ মাত্রই পুংলিঙ্গ এবং স্বাধীন। ব্যঞ্জনবর্ণ মাত্রই  স্ত্রীলিঙ্গ, পরাধীন।


'আদ্যন্ত বিপর্যয়শ্চ'---পাণিনির এই সূত্রানুসারে বিশ্লেষিত 'রাম' শব্দের 'অ' সামনে এল।  তাহলে দাঁড়াল---অ + র্‌ + অ + অ + ম্‌। ব্যাকরণের নিয়ম হচ্ছে যে, যদি কোন শব্দের 'র' বর্ণে্র পূর্বভাগে এবং উত্তরভাগে যদি 'অ' বসে তবে তার 'র' বর্ণ 'উ' বর্ণে পরিণত হয়। 


ফলে রাম শব্দের অন্ত্যভাগের র্‌ + অ = উ হয়ে যায়।

অ + র্‌ + অ = উ
অর্থাৎ উ + অ = ও হল।।
ও + ম্‌ = ওম্‌  বা  ওঁ হয়ে গেল।।

এইভাবে রাম শব্দের মধ্যে "ওঁ" লুক্কায়িত আছে। তাই ঋষিদের উপলব্ধি ওঁকারতত্ত্ব মনন করলে যেমন কোন বস্তুই অপ্রাপ্ত থাকে না, 'রাম' শব্দ মনন করলেও কোন বস্তুই অপ্রাপ্ত থাকে না। ওঁকার যেমন মোক্ষ দান করে 'রাম' এই সিদ্ধ শব্দও মোক্ষ দান করে। তাই রামমন্ত্রকে বলা হয় তারকব্রহ্ম নাম।



https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191