প্রায় সাধু-সন্ন্যাসী থেকে গৃহী সবাইকে বলতে শুনি---- আমি নিত্য গুরুর নির্দিষ্ট পন্থায় সাধন-ভজন করি, নিত্য ধ্যান করি, দৈবী অনুভূতির আশায় বিভিন্ন ধর্মস্থানে ঘুরে বেড়াই, গুরুকে ভালবাসি, ইষ্টকে ভালবাসি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কারণ "ভালবাসি" অর্থাৎ অহং এই কথাটা দগ্দগে ঘায়ের মত মনের মণিকোঠায় থেকে যায়। কারণ "ভালবাসি"র মধ্যে আমি থাকে, থাকে মায়া, থাকে লোভ। তাই "ভালবাসি"র ফুল বাসি হয়ে যায়। ফুল তুললে, মালা গাঁথলে, গলায় পরলে, ঠাকুর সাজালে তারপর প্রয়োজন ফুরালেই 'বাসি' ফুল ফেলে দিতে হয়। ভালবাসা রূপ 'বাসি' ফুলে কি মৌমাছি বসবে! না গুণ্গুণ্ করবে! মধু জমবে কোথা থেকে? তাই ভালবাসার জন্য ভাললাগা ভাল। তাতে কি হচ্ছে আর হচ্ছে না, তার হিসাব থাকে না। যে বাসায় ভালবাসা থাকে সেখানেই ত বাস প্রেমের ঠাকুর মদনমোহনের। ভালবাসাই ভগবান।
আমি-হীন, মায়া-হীন, লোভ-হীন প্রকৃত ভালবাসা যাঁর হয় মহাকালের সেই মন্দিরা তখনই বাজে---- সুখে বাজে, দুঃখে বাজে, ফুলে বাজে, কাঁটায় বাজে! আলো-ছায়ায়, জোয়ার ভাঁটায়, ভালয় মন্দয়, আশা ও শঙ্কার মধ্যে বেজে চলেছে, তাঁর নিত্যকালের ডমরু! তিনি দয়ার সাগর। তিনি মন্দিরে থাকুন বা না থাকুন তাঁর সর্বব্যপ্ত বিরাট স্বরূপের অনুধ্যানই আসল।
অহংতা চুরি, অহং চামারি, অহং নীচেন কি নীচ।
অহং না হোতি বিচমে তো সাক্ষাৎ থে ঈশ।।
অর্থাৎ অহংকার চৌর্যাপরাধের মত জঘন্য অপরাধ। অহংকার-বৃত্তি মেথরাণী বা চণ্ডালিনীর মত নীচ। জীব ও ব্রহ্মের মধ্যে দুর্লঙঘ্য বাধা স্বরূপ এই অহং। এই অহং না থাকলে জীব সহজেই অনুভব করতে পারত যে সে স্বয়ং ব্রহ্ম স্বরূপ।
তখনই তাঁর ইষ্ট বস্তু লাভ সহজ হয়।
https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191
তখনই তাঁর ইষ্ট বস্তু লাভ সহজ হয়।
https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191