ওঁ যদ্ ব্রহ্ম শুদ্ধং নিরহং নিরীহং স্বান্তর্বিলীনাত্মসমস্তশক্তি।
সচ্চিৎসুখং চৈকম্ অনন্তপারং তং তু আদিনাথং গুরুমানতা স্মঃ।।১
যিনি শুদ্ধ, নিরহঙ্কার, আপ্তকাম এবং যাঁর অভ্যন্তরে সমস্ত শক্তি বিলীন হয়ে আছে, সেই অনন্ত অপার সচ্চিদানন্দ আদিনাথ নামক পরমাত্মা আমাদের প্রথম দিব্যগুরু। আমরা তাঁকে প্রণাম করি।
ওঁ যাস্তদ্বিলীনামিতশক্তয়ঃ স্যুস্তৎরূপিণী ব্রহ্মণ আদ্যভিন্না।
নিদ্রান্ত আদ্যেব নরস্য বৃত্তির্নতাঃ স্ম স্তাং শক্তিগুরুং দ্বিতীয়ম্।।২
পরব্রহ্ম হতে অভিন্না আদ্যাশক্তি --- যিনি বিলীন হয়ে আদিনাথ নামক পরব্রহ্মে সুপ্তোত্থিত পুরুষের বৃত্তিবৎ অবস্থান করেন, তিনি আমাদের দ্বিতীয় দিব্যগুরু। আমরা তাঁকে প্রণাম করি।
ওঁ ত্বয়া বিশিষ্টস্তু স আদিনাথো নিরাকৃতির্নির্গুণ উচ্যতেহসৌ।
বৃত্ত্যন্যগোহনুগ্রবাং স্তৃতীয়ং সদাশিবং তং গুরুমানতাঃ স্মঃ।।৩
সেই শক্তিবিশিষ্ট আদিনাথ নির্গুণ ও নীরূপ হলেও নিবৃত্তিক যোগীর প্রঞ্জায় অনুগ্রহবশতঃ আরূঢ় হন বলে তাঁর নাম সদাশিব। সেই সদাশিব আমাদের তৃতীয় দিব্যগুরু। আমরা তাঁকে প্রণাম করি।
ওঁ তদুত্থিতা যা স্বত এব বৃত্তিঃ শ্রুত্যা স নৈকো রমতে ত্বিতীড্যা।
তাং শুদ্ধাবিদ্যাং চ সদাশিবীয়াং শক্তিং চতুর্থং গুরুমাতাঃ স্মঃ।।৪
সদাশিব দ্বিতীয় ব্যতীত একক প্রকাশিত হতে পারেন না বলে যে শক্তিরূপ বৃত্তির আশ্রয় গ্রহণ করেন, সেই শক্তিই আমাদের চতুর্থ দিব্যগুরু। আমরা তাঁকে প্রণাম করি।
ওঁ তদ্বানরূপঃ সগুণঃ স জাতস্তু অপাদপাণিঃ শ্রুতিবাক্প্রসিদ্ধঃ।
তিরোহিতং তিষ্ঠতি বিশ্বমস্মি্ন তমীশ্বরং পঞ্চমমানতাঃ স্মঃ।।৫
সেই শক্তিযুক্ত আকার বিরহিত কিন্তু ঞ্জানাদি বহুগুণবিশিষ্ট সদাশিব যখন অনুগ্রহ নিগ্রহ-সমর্থ ঈশ্বররূপ ধারণ করেন এবং তাঁর যে ঈশ্বররূপ শ্রুতি চরণহীন হলেও বেগগামী, নয়নহীন হলেও দৃষ্টিমান ও কর্ণহীন হলেও শ্রবণশীল বলে বর্ণনা করেছেন, সেই ঈশ্বর আমাদের পঞ্চম দিব্যগুরু। আমার তাঁকে প্রণাম করি।
ওঁ দ্বিতীয়ম্ ঐচ্ছৎ শ্রুতিবর্ণিতা যা তদ্ধৃত্তিরস্মান্ মহদাদিগর্ভম্।
ধত্তেহন্তরে তাং বয়মীশ্বরস্য শক্তিং তু ষষ্ঠং গুরুমানতাঃ স্মঃ।।৬
লীলার জন্য দ্বৈতভাব গ্রহণ করেছেন বলে শ্রুতি যাঁকে ইচ্ছাময় বলেন এবং তাঁর যে ইচ্ছাশক্তিরূপ বৃত্তি মহাদাদির নিধান বলে অভিহিত। তাঁর সেই বহুভবন শক্তি আমাদের ষষ্ঠ দিব্যগুরু। আমরা তাঁকে প্রণাম করি।
ওঁ তদ্যুগগুণাঢ্যাকৃতিমান্ স যা ত রুদ্রেতি বেদোক্তবচঃপ্রসিদ্ধঃ।
লয়ীকৃতং তিষ্ঠতি বিশ্বমস্মিংস্তং সপ্তমং রুদ্রগুরুং নতাঃ স্মঃ।।৭
মহাদাদিনিধানশক্তিযুক্ত যে ঈশ্বর গুণবহুল হয়ে আপনাতে সমস্ত বিশ্ববেগ ধারণ করে থাকেন এবং যজুর্বেদ রুদ্রাধ্যায়ে যাঁকে রুদ্র বলে বর্ণনা করা হয়েছে, তিনি আমাদের সপ্তম দিব্যগুরু। আমরা তাঁকে প্রণাম করি।
ওঁ অহং বহু স্যামিতি যা তদুত্থা বৃত্তির্জনিত্রী মহাদাদিকানাম্।
পৃথক পৃথক কৃত্য চ রুদ্রশক্তিং তমষ্টমং স্বীয়গুরুং নতাঃ স্মঃ।।৮
এক থেকে বহু হবার অভিপ্রায়ে ধৃতবেগ রুদ্র হতে বৃত্তিরূপা যে শক্তি অন্তর্নিহিত তত্ত্বসমূহকে পৃথক করার জন্য মহাদাদির জনিত্রী হন, তিনি আমাদের অষ্টম দিব্যগুরু। আমরা তাঁকে প্রণাম করি।
ওঁ ব্যাপ্নোতি তদ্যুক স মহন্মুখেষু তত্ত্বেষু তেজস্তু অখিলম্ স্বকীয়ম্।
নিধায় তৎস্থং পরিপাতি বিশ্বং বিষ্ণুগুরুং তং নবমং নতাঃ নতাঃ স্ম।।৯
সংসৃষ্ট ও বিবিক্ত হওয়ায় বৃত্তি অবলম্বন করে মহাদাদি তত্ত্বে যাঁর স্বকীয় সমগ্র তেজ পালনের জন্য নিহিত থাকে, তিনি আমাদের নবম দিব্যগুরু --- বিষ্ণু। আমরা তাঁকে প্রণাম করি।
ওঁ পুষ্ণাম্যহং বিশ্বমিদং স্বকীয়ং মদীয়শক্ত্যেতি মদীয়বৃত্তিঃ।
পুষ্ণাতি তত্ত্বান্তরগং তু বিশ্বং তাং বিষ্ণুশক্তিং দশমং নতাঃ স্মঃ।।১০
আমি স্বতঃই বিশ্বপোষণকৃৎ --- এইরূপ বৃত্তিগত যে বৈষ্ণবী শক্তি তত্ত্বান্তরে পরিণত বিশ্বের পোষণ করেন, তিনি আমাদের দশম দিব্যগুরু --- বিষ্ণুশক্তি। আমরা তাঁকে প্রণাম করি।
ওঁ তত্ত্বান্তরস্থং জগদিত্থমন্তঃ পশ্যন্ স্ববৃত্ত্যা স বিরাড্ বভূব।
সমষ্টিজীবোহখিলসৃড বিধাতা গুরুং তমেকাদশমানতাঃ স্মঃ।।১১
তত্ত্বান্তরে জগৎ পরিণত হবে বলে আপন বৃত্তি দ্বারা যিনি হিরণ্যগর্ভাখ্য বিরাট হয়েছিলেন এবং যাঁর সেই মূর্তি হতে অখিল চরাচর বিবিক্ত হয়েছে, তিনি আমাদের একাদশ দিব্যগুরু। তাঁকে আমরা প্রণাম করি।
ওঁ যঞ্জাদিকং চাত্মভবাঃ সুখাপ্ত্যৈ কুর্বন্ত জীবা ইতি যাস্যবৃত্তিঃ।
বেদত্রয়ী কর্মময়ী কিলাজশক্তিং গুরুং দ্বাদশমানতাঃ স্মঃ।।১২
আপন শরীরবস্তুভূত জীব চিরসুখের জন্য যঞ্জাদি সাধিত উপাসনা করবে, এইরকম তাঁর যে বৃত্তি বেদত্রয়ী কর্মময়ী সাবিত্রী নামে প্রসিদ্ধ, তিনি আমাদের দ্বাদশ দিব্যগুরু। তাঁকে আমরা প্রমাণ করি।
https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191