Cont..... (Last)
------এই ত্রিকোণাকার যোনিমণ্ডল পরা প্রকৃতির চরম পরম
অবস্থা, এখানেই প্রণবের অর্ধচন্দ্রাকৃতি মহানাদ নিত্যপ্রকট। এই নাদমুখে ত্রিভুবনের মুক্তিদায়ক সদানন্দময় সদাশিব অর্ধনারীশ্বর রূপে নিত্যবিরাজিত,
------এই ত্রিকোণাকার যোনিমণ্ডল পরা প্রকৃতির চরম পরম
অবস্থা, এখানেই প্রণবের অর্ধচন্দ্রাকৃতি মহানাদ নিত্যপ্রকট। এই নাদমুখে ত্রিভুবনের মুক্তিদায়ক সদানন্দময় সদাশিব অর্ধনারীশ্বর রূপে নিত্যবিরাজিত,
লোকানাং যুক্তিজনকো লোকানাং মুক্তিদায়কঃ।
সদানন্দকরো দেবশ্চার্ধ নারীশ্বরো বিভুঃ।।
----- এই অর্ধনারীশ্বরের জ্যোতিতেই দিব্য পিতৃলোক উদ্ভাসিত আছে। ভগবান অর্ধনারীশ্বরের চিদ্বীর্য প্রাণচৈতন্য মায়াশক্তির আশ্রয়ে স্থূলরূপে যখন বিকাশোন্মুখ হয় তখন তা সর্বপ্রথম বিশুদ্ধ ব্যোমমণ্ডলে অনুপ্রবিষ্ট হয়।
রহস্যময় সৃষ্টিধারার ক্রম বজায় রাখার জন্য প্রকৃতির বিধানে মাতাপিতা যখন উভয়ে মিলিত হন, তখন তাঁরই চিদ্রশ্মি পঞ্চীকরণের নিয়মানুসারে রজোবীর্যের স ংযোগে মাতৃগর্ভে পাঞ্চভৌতিক শরীর গঠনে সাহায্য করে। তারই পরিণাম আপন আপন মাতাপিতার পুত্রকন্যারূপে জন্মলাভ।
সচ্চিদানন্দ অর্ধনারীশ্বরের ক্ষেত্র হতে ঐ ধারা নেমে আসে বলে মা-বাবার আপন সন্তানের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালবাসা থাকে, তাঁরা সন্তানের জন্য সদাকল্যাণ তৎপর হয়ে থাকেন। পুত্র-কন্যার পক্ষে তাই মাতাপিতার ঋণ অপরিশোধ্য।
পুত্রকন্যা যদি মাতা-পিতাকে ঐ অর্ধ নারীশ্বর ঞ্জানে এই পথে অর্থাৎ অর্ধনারীশ্বর ক্ষেত্র হতে পূর্বোক্ত চিদ্রশ্মিপথে
( যা তার আপন আঞ্জাচক্রে রয়ে গেছে ) ধ্যান করেন, তবে ঐ অর্ধনারীশ্বর ক্ষেত্র সহজেই উদ্দীপিত হয়, ঐ চিদ্রশ্মির টানে উত্তরণের পথ সহজ হয়। তার ফলে অন্তে সান্দ্র ব্রহ্মানন্দ লাভ হয়। নিজ জীবনে কৃতকৃত্য ও চরিতার্থ হওয়ার এটি গুহ্যতম সিদ্ধপথ।
মহাযোগেশ্বরদের মতে,
ইহস্থাং ঞ্জাত্বা নিয়তনিজচিত্তোনরবরো
ন ভূয়াৎ সংসারে ক্বচিদপি চ বদ্ধস্ত্রিভুবনে।।
এই রহস্য ঞ্জাত হয়ে যিনি নিজ চিত্ত এইরূপ ধ্যানের পথে লীন করতে পারেন, তিনি স্বর্গমর্ত্ত্যপাতালের কোন স্থানে আর আবদ্ধ হন না, তাঁকে আর স ংসারে জন্মগ্রহণও করতে হয় না।
আমি কেবল প্রার্থনা করব,
ভগভক্তস্য তে বয়ং উদশেমতবাবসা
মূর্ধ্বাং রায়ঃ আরভে।। (ঋগ্বেদ)
হে প্রভু, হে বরণীয় ভর্গদেবতা, এই পথ অনুসরণ করে জীব যেন প্রাণস্রোতের মূর্ধ্বাতে উজান বেয়ে চলে যেতে পারে।।
ওঁ শিবমস্তু।