Wednesday, January 26, 2011

অলৌকিক দর্শন:---


............... সূর্যাস্ত হতে আর দেরী নাই। নাঙ্গা বাবা ঘাট খুঁজে জলস্পর্শ করাতে নিয়ে গেলেন আমাদেরকে। কিন্তু ঘাট পেলাম না, মরিয়া হয়ে যে কোন স্থানে নামতেও সাহস হল না কারও। তিনিই সাহস করে একস্থানে নেমে জলস্পর্শ করে জল ছিটিয়ে দিলেন আমাদের গায়ে। যাঁদের কমণ্ডলুর জল কম ছিল কিংবা শেষই হয়ে গেছল, সেগুলো ভরে ভরে হাত উঁচু করে এগিয়ে দিলেন আমাদের দিকে। কোন মতে হামাগুড়ি দিয়ে পাথরের ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট গাছপালা আঁকড়ে ধরে কোন মতে উঠে এলেন উপরে।

সূর্যাস্ত হয়ে গেছে, অন্ধকার নেমে এসেছে, যেন হঠাৎ একটা নীরন্ধ্র কালো যবনিকা নেমে এসেছে পৃথিবীর উপর। আমরা তাড়াতাড়ি ফিরে এলাম সেই শিমূল ও বেলগাছের তলায়। কনকনে ঠাণ্ডা, নর্মদা হতে মাঝে মাঝে ঠাণ্ডা বাতাসের ঝাপটা এসে আমাদের কাতর করে তুলেছে। তাড়াতাড়ি কাঠে আগুন লাগানো হল কাঠে ধীরে ধীরে আগুন ধরতে লাগল আমরা আসন কম্বল পেতে মাথায় গেরুয়া কাপড়ের ফেটি, মাফলার, গরম টুপী যার যেমন আছে সেইভাবে বেঁধে নিয়ে বসলাম। মুক্ত আকাশের তলায় সম্পূর্ণ নিরাবরণ অবস্থায় আমাদের সঙ্গে বসে রইলেন দিগম্বর সাধু।

আগুন ধীরে ধীরে স্তূপীকৃত কাঠের মধ্যে জাঁকিয়ে উঠে আমাদের সাজানো অনুযায়ী ঘিরে ধরল আমাদেরকে মণ্ডলাকারে। আমাদের শয্যা হতে দূরে আগুন ধিকি ধিকি জ্বলে উঠতেই আমরা প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হতে নিস্তার পেলাম। পালা করে ৪জন করে প্রতি প্রহরে জেগে থাকার বন্দোবস্ত করা হল। নাঙ্গা মহাত্মা এবং হিরন্মায়ানন্দজীকে এই প্রহরা দেবার কাজ হতে অব্যাহতি দেওয়া হল। নাঙ্গা সাধু বললেন --- আমার এখন যেখানে বসে আছি, এখান থেকে মাত্র দেড় মাইল হেঁটে গেলেই ভৃগুপর্বতের কাছে শূলপাণীশ্বর মহাদেবের মন্দিরে পৌঁছে যেতে পারব।

সকালে সূর্যোদয় হলেই ভৃগু পর্বত এইখান থেকেই দেখা যাবে।
সকালে উঠে উত্তরতটের দিকে তাকালেই এখানকার যে মহল্লা আমাদের চোখে পড়বে, তার নাম বড়গাঁও। প্রাচীন যুগে ঐখানে গোপাল নামক এক গয়লার হাতে অনবধানতা বশতঃ একটি গাভীর মৃত্যু হয় ।

গোপাল তার ঐ গরুটিকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসত। এই ঘটনার পর গোপালের মন অনুশোচনায় ভরে যায়। নিজেকে গো-হত্যার অপরাধে অপরাধী ভেবে সে নিরম্বু উপবাসে থেকে কঠোর তপস্যা করে। আশুতোষ তাকে দর্শন দিয়ে বিমলেশ্বর তীর্থ স্থাপন করতে আদেশ দেন।

তার প্রতিষ্ঠিত বিমলেশ্বর শিবের পূজা এখানও সেখানে হয়। ওঁঙ্কলেশ্বর হতে আসার পথে হরিধাম অতিক্রম করে কিছুদূরেই যে আর একটি বিমলেশ্বর তীর্থ আছে, নামের সাদৃশ্য থাকলেও ঐ দুটি পৃথক পৃথক তীর্থ। হরিধামে পেরিয়ে এই দক্ষিণতটেই যে বিমলেশ্বর দেখে এসেছেন তিনি স্বয়ং শিব। আর এখানে আমাদের সামনে যে বিমলেশ্বর তাঁকে শিব ঞ্জানে পূজা করলেও তিনি অনাদি লিঙ্গ নন, একজন শিবের গণ বা ভৈরব মাত্র।


তাঁর কথা শেষ হতে না হতেই খস্‌ খস্‌ শব্দ শুনে আমরা চমকে উঠলাম। আগুনের শিখায় দেখতে পেলাম চারটে নেকড়ে বাঘ এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের লক্‌লকে জিহ্বা বের করে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। একত্রে এতগুলো লোভনীয় শিকার চোখের সামনে দেখে তাদের নোলা থেকে জল ঝরছে। তাদের এবং আমাদের মধ্যে অগ্নির লেলিহান শিখা দাউদাউ করে জ্বলছে বলে ভয়ে, ঝাঁপিয়ে পড়তে পারছে না, নতুবা আমাদের কী যে দশা হত, তা মা নর্মদাই জানেন।

রাত্রি প্রায় দশটা নাগাদ আমাদের পিছনে যে অগ্নিপ্রাকার তার থেকে কিছুদূরে " হাঃ হাঃ হাঃ" অট্টহাসি শুনে আমরা চমকে পিছন দিকে তাকাতেই চোখে পড়ল প্রায় একসঙ্গে ছ'টা হায়না এসে জড় হয়েছে ।
সামনে নেকড়ে এবং পিছনে হায়নার দল দেখে ভয়ে বাসবানন্দজী এবং আরও দুজন ব্রহ্মচারী মূর্চ্ছিত হয়ে পড়লেন । ঠিক সময়ে হরানন্দজী, বাসবানন্দজীকে এবং রঞ্জন আর দুজন ব্রহ্মচারীকে জাপটে ধরে আসনের উপর শুইয়ে না দিলে তাঁদের হাত পা মাথা নির্ঘাৎ টলটলায়মান অবস্থায় আগুনে পড়ে বিপর্যয় ঘটত।

এইভাবে নেকড়ে এবং হায়নার দল আমাদেরকে ঘিরে ধরায় আমার তখনও যারা দাঁড়িয়েছিলাম, ক্রমে আমাদের মনে প্রবল ভয় দেখা দিল ।


হিরন্ময়ানন্দজী এবং প্রেমানন্দ এই দুজনের শরীর এমনভাবে থরথর করে কাঁপতে লাগল যে তারা হাতের লাঠি ফেলে দিয়ে বসে পড়লেন ধীরে ধীরে। আমি 'বাবা, বাবাগো রক্ষা কর' বলে বড় অসহায়ভাবে প্রাণের আর্তি জানাতে লাগলাম । আমার চোখ দিয়ে জল পড়ছে । রঞ্জনও মা মা বলে চিৎকার করে কাঁদছেন। যেখানটায় কাঠ কম ছিল সেদিকের অগ্নিশিখার উচ্চতা ক্রমেই কমে আসছে দেখে পিছনের হায়নারা এবং সামনের নেকড়েরা সেই সব স্থান দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্যোগ করতেই দেখলাম। গর্জে উঠলেন নাঙ্গা মহাত্মা। তিনি দুহাতে দু্টো জ্বলন্ত কাঠ নিয়ে মাথার উপর ঘোরাতে ঘোরাতে মন্ত্র পাঠ করতে লাগলেন--- 

ওঁ তৎ সবিতুর্বরেণ্যম্‌ ত্র্যম্বকং যঞ্জামহে সুগন্ধিং পুষ্টিবর্ধনং ভর্গোদেবস্য ধীমহি। উর্বারুকমিব বন্ধনাৎ ধিয়োয়োনঃ প্রচোয়াৎ। মৃত্যোর্মূক্ষীয় মা অমৃতাং' 


গম্ভীর কণ্ঠে মন্ত্র পাঠের পর তিনি সামনে পিছনে দুদিকে দুটি কাঠ ছুড়ে দিলেন ।পরে আর আগুনের হল্কা চোখে পড়ল না । মিলিয়ে গেল অরণ্যের অন্ধকারের মধ্যে । আমরা স্তম্ভিত হয়ে বসে দুটো কাঠের কোনটাই কোনদিকের বাঘের গায়ে লাগেনি, তবুও পরম বিস্ময়ের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করলাম, নিক্ষিপ্ত দুই কাঠের জ্বলন্ত আগুন দুই দিকে পাথরের উপর পড়া মাত্রই তার হলকা ছুটে চলল তাদেরকে তাড়া করে নিয়ে । বাঘগুলো প্রাণপণে পালিয়ে যাচ্ছে, আমরা স্পষ্টতঃ দেখতে পেলাম দুই টুকরো কাঠের আগুন দশটা হলকা বিভক্ত হয়ে দশটি বাঘকে তাড়া করে নিয়ে যাচ্ছে । কিছুক্ষণ পরে আর আগুনের হল্কা চোখে পড়ল না । মিলিয়ে গেল অরণ্যের অন্ধকারের মধ্যে । আমরা স্তম্ভিত হয়ে বসে পড়লাম ।


নমো নর্মদে মাতু ঈশান তন্যা
নমো শর্মদে বর্মদে দেবি ধন্যা ।
কলিকাল গঙ্গে সে তেরি বিশোষা,
কথৈঁ মাহাত্ম্য মানৌ দেবা সুরেশা ।।


অর্থাৎ মা নর্মদে!  তুমি ঈশান মহেশ্বরের তনু হাতে জাত। তুমি একাধারে সুখদাত্রী এবং জীবের রক্ষাকর্ত্রী। ধন্য তোমার করুণা।কলিকালে গঙ্গার চেয়ে তোমার মহিমা বেশী। তোমার এই বিশেষত্বের কথা, সমস্ত দেবতা, এমন কি স্বয়ং সুরেশ্বরও মেনে থাকেন। হর নর্মদে।


https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191

Sunday, January 23, 2011

দীক্ষা:---


............ আণবী দীক্ষা দশরকম। যথা ------- স্মার্তী, মানসী, যৌগী, চাক্ষুষী, স্পর্শিনী, বাচিকী, মান্ত্রিকী, হৌত্রী, শাস্ত্রী ও আভিষেচিকী।

*স্মার্তী দীক্ষা--- সমর্থ গুরু বিদেশস্থ শিষ্যকে স্মরণ করে ক্রমশঃ তার আণবমল, কর্মমল ও মায়িক মলের আবরণকে বিশ্লিষ্ট অর্থাৎ চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলেন এবং লয়যোগাঙ্গবিধানে তাকে পরম শিবে যোজনা করেন। 

*মানসী দীক্ষা--- শিষ্যকে নিজের কাছে বসিয়ে অন্তঃদৃষ্টিতে তার মলত্রয়কে অবলোকন করে, সেই মলত্রয়কে নিশ্চিহ্নকরণ । 


*যৌগী দীক্ষা--- যোগোক্ত ক্রমে গুরু শিষ্য দেহে প্রবিষ্ট হয়ে তার আত্মাকে নিজের আত্মাতে যুক্ত করেন । তার নাম যৌগদীক্ষা । 


*চাক্ষুষী দীক্ষা--- শিবোহহং ভাবে সমাবিষ্ট হয়ে গুরু করুণাদৃষ্টিতে শিষ্যকে নির্ণিমেষ নেত্রে দেখতে থাকেন তাতেই শিষ্যের মধ্যে অকস্মাৎ শিবভাবের বোধন ঘটে যায় । 


*স্পর্শিনী দীক্ষা--- গুরু স্বয়ং পরমশিবভাবে ভাবিত হয়ে সমাধিস্থ হয়ে পড়েন । সেই সময় তাঁর হস্তই শিবহস্ত, তাঁর মুখই শিববক্ত্র । আনন্দ জ্যোতিতে উদ্ভাসিত গুরু শিষ্যের উপযোগী বীজমন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে তাঁর শিবহস্ত শিষ্যের মাথায় অর্পণ করেন । সঙ্গে সঙ্গে নাদ ও জ্যোতি প্রকট হয়ে যায় ।


*বাচিকী দীক্ষা--- গুরু তাঁর গুরুভাবে ভাবিত হয়ে নিজ দেহে স্বীয় গুরুশক্তির আবেশ ঘটান । নিজের বক্ত্রকে তখন গুরুবক্ত্ররূপে অনুভব করে শ্রদ্ধাপ্লুত অবস্থায় শিষ্যের নিকট দিব্যমন্ত্র প্রকট করে থাকেন।সেই সদ্যপ্রকটিত মন্ত্রের উপযোগী মুদ্রান্যাসাদি সাধন প্রণালীও শিখিয়ে দেন।


*মান্ত্রিকী দীক্ষা---এই দীক্ষায় গুরু মন্ত্রন্যাস যুক্ত অবস্থায় স্বয়ং মন্ত্রতনু হয়ে শিষ্যকে মন্ত্রদান করে থাকেন ।গুরু যে মন্ত্রতনু হলেন তা শিষ্য এই দেখে বুঝতে পারেন যে গুরুর ললাটে কিংবা বক্ষস্থলে শিষ্যের বীজ অত্যাশ্চর্য উপায় যেন ক্ষোদিত হয়ে জ্বলজ্বল- করছে ।

*হৌত্রী দীক্ষা--- গুরুকুণ্ডে বা স্থণ্ডিলে অগ্নিস্থাপন করে লয়যোগের ক্রমে শিষ্যকে দিয়ে প্রসিদ্ধ বেদমন্ত্রে ক্রমাগত আহুতি দেওয়াতে থাকেন । তাঁর সংকল্প থাকে শিষ্যের মলশুদ্ধি ও পাশ মুক্তি । বেদমন্ত্র হল---


ওঁ অগ্নিং দূতং বৃনীমহে হোতারং বিশ্ববেদসং
অস্য যঞ্জস্য সুক্রতুম ।।*

হোম করতে করতে শিষ্য প্রথমে খুব জ্বলন বা তাপ অনুভব করেন । এই যঞ্জাগ্নির তাপে শিষ্যের দেহাবস্থিত পাশ সমূহ দগ্ধীভূত হয় । তারপর শান্ত স্নিগ্ধ শীতলতার আবির্ভাব হয় । সেই স্নিগ্ধ অমৃতরসে শিষ্যের সকল সত্তা আপ্লাবিত হয়ে যায় ।

*শাস্ত্রী দীক্ষা--- গুরু তাঁর যোগ্য শুশ্রূষু ভক্তকে যে সাধনায় সিদ্ধ করতে চান কিংবা যে তত্ত্ব তিনি তার মধ্যে প্রকট করতে চান, সেই তত্ত্ব বিষয়ক বা সাধনা বিষয়ক গ্রন্থ শিষ্যের হাতে দিয়ে আশীর্বাদ করেন ।তাঁর আশীর্বাদের ফলে সেই তত্ত্ব বা সাধন রহস্য শিষ্যের অধিগত হয়ে যায় ।


উপনিষদে গল্প আছে, আরুণি, উদ্দালক ও উপমন্যু প্রভৃতির গুরু সেবায় তুষ্ট হয়ে তাঁদের স্ব স্ব গুরুবর্গ কোন সাধনা না করিয়েও কেবল আশীর্বাদ করতেন--- সর্ববিদ্যা তোমার অধিগত হোক, তুমি ব্রহ্মের স্বরূপ উপলব্ধি কর, আর গুরুর অমোঘ আশীর্বাদের গুণে তাঁরা অচিরাৎ ব্রহ্মবিদ্যায় পারংগম হয়ে উঠতেন ।এরই নাম শাস্ত্রী দীক্ষা।

*আভিষেচিকী দীক্ষা---এই দীক্ষার অপর নাম শিবকুম্ভভিষেক দীক্ষা। সাধারণতঃ একটি কুম্ভে শিব ও শিবানীকে পূজা করে শিষ্যকে মন্ত্রদান করা হয় ।সাধারণ তন্ত্র গ্রন্থে এই বিধান । কিন্তু শৈবাগমের ঋষিদের মতে, শিষ্যকে গন্ধপুষ্পাদি দ্বারা পূজা করে স্বয়ং গুরু তার দেহরূপ ঘটে আপন তপঃশক্তির বলে শিব ও শিবানীর আবেশ সঞ্চার করে দেন ।সেটাই যথার্থ আভিষেচিকী দীক্ষা । অন্তররাজ্যে প্রবেশ করার জন্য গুরু কর্তৃক শিষ্যের এই হল----অভিষেক ক্রিয়া ।


https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191

Sunday, January 9, 2011

মা


অন্তর কার কুসুম- কোমল, বহিছে কোথায় ফলগুধারা ?
মোর ভাবনায় দিবস-রজনী কে রহে বল আত্মহারা ?

প্রতিদিন কার আহ্বান আসে ক্ষুধার অন্ন চা'বার আগে
সুশীতল বারি কাহার হস্তে নেহারি সহসা তৃষ্ণা জাগে?

বিপদে কাহার আকুল হৃদয় যাচে দেবতার প্রসাদটুক ?
অমঙ্গলের বিষম ভাবনা শেলসম বিঁধে কাহার বুক ?

জীবন- পথের বিঘ্ন বাধায় পশ্চাতে ঠেলে কাহার হাত ?
সংসার-মরু ছায়াময় রয় সে শুধু কাহার আশীর্বাদ ?

আমার সুখ-যশ-গৌরবে কার বুক ভরে সবার চেয়ে ?
শুভদিনে কার স্মিতহাসিখানি ঝরে পড়ে দু'টি নয়ন বেয়ে ?

স্বরগ হতেও প্রিয় আপনার করিয়াছে কেবা ধরার মাটি ?
তাঁরে কি চেন না ? চিনাইতে হবে ? তিনি যে মোদের মধুরা মা-টি !





Saturday, January 8, 2011


এই মাটিতে পিতঃ। তোমার চরণ স্পর্শ আছে ।
তাই এই মাটি, স্বর্গসম, মধুর আমার কাছে। ।
এই হাওয়াতে বাবা তুমি নিয়েছিলে শ্বাস
তাই এই হাওয়া স্নিগ্ধ হলো, তাই এত সুবাস ।
এই আলোতে ভাগ্যবলে হেরেছিনু নয়ন মেলে
তোমায় পিতঃ! তাই এ আলো হৃদয় দীপ জ্বালে ।।
সকল ধ্বনি রণরণি কানে শোনায় মধুর বাণী
হৃদয় বীণায় নিত্য তোমার অমৃত গান শুনি ।
ঝরণা, নদী, বৃষ্টিধারা মন্দাকিনী সুধাভরা
তোমার স্নেহসাগর মাঝে হয় যে প্রভু হারা ।।
সকল ধ্যানের সকল ঞ্জানের শেষ যে তোমার কাছে ।
পুত্র তোমায় নিত্য যে তাই অভয় চরণ যাচে ।।