Tuesday, March 22, 2016


দোলযাত্রার পুণ্যক্ষণে "মা নর্মদার" কৃপাধন্য "তপোভূমি নর্মদা"র লেখক স্বর্গীয় শৈলেন্দ্রনারায়ণ ঘোষাল শাস্ত্রীজীর জন্মদিনে তাঁকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম


হোম আরতি ঘি এর বাতি তপতপস্যার আড়ম্বর,
জপবো না নাম ন্যাস প্রাণায়াম করব নাকো অতঃপর।
কাজ কি মিছা জঞ্জালে,
কী হবে মোর চক্ষু মুদে
আসন পেতে বাঘছালে?
তুমিই আমার স্বর্গপিতঃ!
তুমিই আমার দেবতাগো
দাও চরণের পুণ্যধূলি
আশিস্‌ তোমার মহার্ঘ!

Monday, March 21, 2016

"কোটেশ্বর তীর্থ" ---


নর্মদার উত্তরতট, দক্ষিণতট মিলিয়ে পাঁচটি কোটেশ্বর তীর্থ আছে। এটি নর্মদার উত্তরতটে অবস্থিত। মন্দিরের যাওয়ার পথ খুবই দুর্গম। পথের উপর, গাছের গোড়াতে দুই তিন হাত পর্যন্ত পলিমাটি জমে থাকায় স্পষ্ট বোঝা যায় নর্মদায় যখন জোয়ার আসে এই সব স্থান ডুবে যায়। বড় বড় গাছপালায় ঢাকা বলে কোটেশ্বরের প্রস্তর নির্মিত সুপ্রাচীন মন্দির তট থেকে চোখে পড়ে না। মন্দির চত্বর বিশাল। মন্দিরে পূজিত শিবলিঙ্গটি খুবই জাগ্রত। মন্দিরের গর্ভগৃহে সূর্যের কিরণ প্রবেশ করে না। গর্ভগৃহের দরজা সব সময় বন্ধ থাকে। পূজা করে  গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ করে দিতে হয়। মন্দিরের গর্ভগৃহের আয়তনের চেয়ে মন্দিরের বারান্দা অনেক বেশী প্রশস্ত। বারান্দা থেকে প্রশস্ত বাঁধানো সিঁড়ি ধাপে ধাপে নেমে গেছে। মন্দিরটি গাছপালায় ঢাকা বলে পরিক্রমাবাসী সাধুরা গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেন। এই মন্দিরের পিছনে, আশে পাশে পরিক্রমাবাসী সাধুরা থাকেন।

মন্দিরে পূজিত শিবলিঙ্গটি হল আগ্নেয় লিঙ্গ। এই আগ্নেয় লিঙ্গের বৈশিষ্ট্য হল ---

"আরুণং হিত্য কীলালমুষ্ণস্পর্শং করোত্যলম্‌।
আগ্নেয়ং তচ্ছক্তিনিভমথবা শক্তিলাঞ্ছিতম্‌।
ইদং লিঙ্গবরং স্থাপ্য তেজসাধিপতির্ভবেৎ।।"

আগ্নেয় লিঙ্গ অরুণ বর্ণের মত লাল হয়, করতলে উষ্ণ স্পর্শ লাগে, লিঙ্গের মধ্যে অর্ধনারীশ্বর বা শক্তির চিহ্ন স্পষ্ট অঙ্কিত থাকে। এই লিঙ্গ যিনি স্থাপন করেন স্থাপয়িতা তেজের অধীশ্বর হন।

www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191





Saturday, March 12, 2016


মহাদেব বিষপান করেও মৃত্যুঞ্জয় হয়েছেন কেন!

একে শূলী, তায় জ্বলে গলায় গরল
যন্ত্রণায় তাই শিব হইয়া বিহ্বল,
অপর্ণা পার্বতী মহারোগ-বিনাশিনী
একমাত্র ঔষধিরে সার মনে গণি,
মহানন্দে লইলেন তাঁহারি আশ্রয়
সে অবধি হয়েছেন ভবে মৃত্যুঞ্জয়।

মহাদেব বিষপানকালে প্রাণের আশঙ্কা করেন নি কেন!

স্বয়ং শিব আছে এই ভবে
বিষপানে মৃত্যু হলে শিবত্বই রবে
পবিত্র জাহ্নবী-জল স্পর্শ যদি করে
শবের শিবত্ব হয়, জানি এ সংসারে।
যে শিবত্ব সে শিবত্ব থাকিতে আমার,
বিষপানে তবে মোর ভয় কিবা আর?
গঙ্গাধর মনে মনে ইহাই বিচারি
বিষপান করিলেন আশঙ্কা না করি! 

মহাদেবের মাথায় চন্দ্র কেন! 

ঢলঢল করিতেছে শিরে গঙ্গাজল
ধক্‌ ধক্‌ জ্বলিতেছে নয়নে অনল।
জল অনলের শত্রু, পাছে তথা গিয়া।
নির্ঝণ করিয়া দেয়, ইহাই ভাবিয়ে,
চন্দ্রকলা গিয়া সেই শঙ্করের শিরে,
মধ্যস্থ হইয়া আছে চিরদিন ধরে! 

অন্নপূর্ণা যাঁর গৃহিনী, সেই মহাদেব ভিক্ষা পাত্র হাতে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করেন কেন! 

অন্নদানে ত্রিসংসারে রাখিবার তরে
ভগবতী অন্নপূর্ণা নিত্য যাঁর ঘরে,
লইয়া মড়ার মাথা তবু সেই হর 
দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে হইয়া কাতর !
ললাটের বিধিলিপি যেবা করে লয়? 

মহাদেব কালীর চরণ বক্ষে ধারণ করেছেন কেন! 

দেবগণ করে যবে সমুদ্র মন্থন,
পরম প্রচণ্ড বিষ উঠিল তখন।
চুক্‌ চুক্‌ করি সেই বিষপান করি,
ছট্‌ফট্‌ করে হর বহুকাল ধরি।
অবশেষে বুঝে কালী-চরণ-কমল
একে মুক্তিপ্রদ, তায় পরম শীতল;
আনন্দে মাতিয়া তাই দেব দিগম্বর
কালীপদ-যুগ নিজ বক্ষের উপর
রাখিয়া পরম সুখে বিভোর হইয়া
দুর্জয় বিষের জ্বালা গিয়াছে ভুলিয়া।
ছাড়িলে বিষের জ্বালা পুনঃ বেড়ে যায়,
অদ্যাপি শঙ্কর তাই ছাড়িতে না চায়। 

www.twitter.com/tapobhumi30

www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191

www.anandatapobhuminarmada.blogspot.com