Monday, March 21, 2016

"কোটেশ্বর তীর্থ" ---


নর্মদার উত্তরতট, দক্ষিণতট মিলিয়ে পাঁচটি কোটেশ্বর তীর্থ আছে। এটি নর্মদার উত্তরতটে অবস্থিত। মন্দিরের যাওয়ার পথ খুবই দুর্গম। পথের উপর, গাছের গোড়াতে দুই তিন হাত পর্যন্ত পলিমাটি জমে থাকায় স্পষ্ট বোঝা যায় নর্মদায় যখন জোয়ার আসে এই সব স্থান ডুবে যায়। বড় বড় গাছপালায় ঢাকা বলে কোটেশ্বরের প্রস্তর নির্মিত সুপ্রাচীন মন্দির তট থেকে চোখে পড়ে না। মন্দির চত্বর বিশাল। মন্দিরে পূজিত শিবলিঙ্গটি খুবই জাগ্রত। মন্দিরের গর্ভগৃহে সূর্যের কিরণ প্রবেশ করে না। গর্ভগৃহের দরজা সব সময় বন্ধ থাকে। পূজা করে  গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ করে দিতে হয়। মন্দিরের গর্ভগৃহের আয়তনের চেয়ে মন্দিরের বারান্দা অনেক বেশী প্রশস্ত। বারান্দা থেকে প্রশস্ত বাঁধানো সিঁড়ি ধাপে ধাপে নেমে গেছে। মন্দিরটি গাছপালায় ঢাকা বলে পরিক্রমাবাসী সাধুরা গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেন। এই মন্দিরের পিছনে, আশে পাশে পরিক্রমাবাসী সাধুরা থাকেন।

মন্দিরে পূজিত শিবলিঙ্গটি হল আগ্নেয় লিঙ্গ। এই আগ্নেয় লিঙ্গের বৈশিষ্ট্য হল ---

"আরুণং হিত্য কীলালমুষ্ণস্পর্শং করোত্যলম্‌।
আগ্নেয়ং তচ্ছক্তিনিভমথবা শক্তিলাঞ্ছিতম্‌।
ইদং লিঙ্গবরং স্থাপ্য তেজসাধিপতির্ভবেৎ।।"

আগ্নেয় লিঙ্গ অরুণ বর্ণের মত লাল হয়, করতলে উষ্ণ স্পর্শ লাগে, লিঙ্গের মধ্যে অর্ধনারীশ্বর বা শক্তির চিহ্ন স্পষ্ট অঙ্কিত থাকে। এই লিঙ্গ যিনি স্থাপন করেন স্থাপয়িতা তেজের অধীশ্বর হন।

www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191





No comments:

Post a Comment