Monday, December 28, 2015


"মহানাম মূর্ত্ত যবে হয় চিদাকাশে 
ধূস্তরের সম ফোটে জ্যোতির প্রকাশে;
মিলিলে জ্যোতির সনে ঝঙ্কারিবে নাদ 
তালে তানে স্মর পিতা ঘুচিবে প্রমাদ।।"

Friday, December 11, 2015

"মহাযোগিনী পাগলীমা" ---


মেদিনীপুর শহর থেকে দশ-বারো মাইল দূরে ধলহারা নামক গ্রামে শ্রীশ্রী পাগলীমা নামে এক যোগসিদ্ধা মা ছিলেন। তাঁর অলৌকিক যোগবিভূতি ছিল। প্রতিদিনই তাঁর কাছে হাজার হাজার লোক যেত ভাগ্য গণনা করতে। তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই তিনি নাম, ধাম, কে কিজন্য এসেছে, কোন সমস্যায় পড়ে এসেছে, তার প্রতিকারই বা কি, তা তিনি গড়গড় করে বলে দিতেন। মনে হত, ভক্ত তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছে, তাঁর সমগ্র জীবনপট তাঁর সামনে যেন আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে গেছে। তিনি কেবল দেখছেন আর বলে যাচ্ছেন। এমনকি তাঁর কাছে আসতে আসতে ভক্ত কোথায় কোথায় বিশ্রাম করেছিল বা কার সঙ্গে কি কি কথা বলেছিল, তাও তিনি বলে দিতে পারতেন। সারা মেদিনীপুর জেলা জুড়ে তাঁর নাম ছিল। তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার কথা ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বাংলাদেশ জুড়ে। কলকাতায় তাঁর অজস্র ধনী মানী ভক্ত ছিল।

তাঁর পূজিত অষ্টধাতু নির্মিত ন'ইঞ্চি দীর্ঘ একটি গৌরী মূর্তি ছিল। শ্রীশ্রী গৌরীই ছিলেন তাঁর ইষ্টদেবী। তাঁর গৌরী পূজার রীতিও ছিল বিচিত্র।

একটা ছোট্ট তামার বাটিতে ছটাক খানিক মধু নিয়ে তিনি মন্দিরে ঢুকতেন ঠিক বেলা ১২ টায়। ঢুকেই অশ্লীল ভাষায় গালি পাড়তেন গৌরীর উদ্দেশ্যে। তারপর আঙুলে করে মধু তুলে তুলে গৌরীমূর্তির ঠোঁটে ঠেকাতেন আর সেখানে সঙ্গে সঙ্গে চুক করে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠত। হাজার হাজার ভক্তের সামনেই এই ঘটনা নিত্য ঘটত।

১৯৫০ সালের বাসন্তী পূজার দিন তিনি যোগাসনে বসে মহাসমাধিতে প্রবেশ করেন। মৃত্যুর ১৫ দিন আগে থেকে তিনি তাঁর দেহান্তের তিথি, বার ও ক্ষণ সকল ভক্ত শিষ্যদের কাছে পূর্বাহ্নেই জানিয়ে দিয়েছিলেন।


www.anandatapobhuminarmada.blogspot.com

www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191

www.twitter.com/tapobhumi30