" জ্যোতির মাঝে শ্রেষ্ঠ জ্যোতি নামল উষা ঐ গগনে,
বিচিত্রতার দীপ্ত কিরণ ছড়িয়ে পড়ে সব ভুবনে।
সবিতা সে অন্তকালে জাগায় তিমির রজনীরে,
দ্যুতিমতী উষায় তথা রাত্রি জাগায় ধীরে ধীরে।।
শুভ্র বরণ দীপ্ত মোহন উষা এল সূর্যসনে,
কৃষ্ণবর্ণা রাত্রি পালায় তিমিরঘেরা নিজসদনে।
রাত্রি উষা অমৃতময় সূর্যসখা তারা দোঁহে,
একের বরণ অন্যে নাশে দীপ্ত হয়ে জগৎ মোহে।।
অনন্ত পথ উভয় বোনের বিধান করেন দেবতারা,
সেথায় নিত্য ভ্রমণ করে একের পরে অন্য তারা।।
ভিন্নরূপা নক্ত উষা চিত্ত তাদের সমান তবু,
দেয় না বাধা পরস্পরে চুপটি করে রয়না কভু।।
সুনৃত বাক তারই দেওয়া প্রভাময়ী জানি তারা,
চিত্র তিনি খোলেন দ্বারে তিমির ভরা অন্ধকারে।
সর্বজগত আলোয় ভরি প্রকাশ করি দিলেন ধনে,
জাগিয়ে দিলেন জ্যোতির্ছটায় বিশ্ববাসী সকল জনে।।
বক্র হয়ে ছিল শুয়ে উষা তাদের দিলেন ডাকি,
কেউ বা যাগে কেউ বা ভোগে কেউ বা কাজে মাতল হাঁকি।
উষা তাদের দৃষ্টি বাড়ায় অল্প যারা দেখতে পারে,
দীপ্ত উষা জাগান হেসে বিশ্বজগৎ পারাবারে।।
কেউ বা জাগে ধনের লাগি কেউ বা জাগে অন্ন তরে,
কেউ বা জাগে যঞ্জ তরে কেউ বা ইষ্ট যাচ্ঞা করে।
প্রকাশ করেন বিশ্বভুবন বিশ্বজনের হিতের লাগি,
চলেন সবাই আপন কাজে তন্দ্রা হতে ভোরে জাগি।।"