Wednesday, October 29, 2014


"স্রষ্টা আছেন শুনি ---

তাঁরে চোখে দেখি নি,
মাতাপিতা নিত্য প্রকট
তাঁদেরেই নমি।।"

মাতাপিতার স্বরূপ দর্শনের মহাসিদ্ধবীজ --- "ওঁ  ঐঁ  হ্রীঁ" --- এই মহাবীজের মধ্যে শিবশক্তির সামরস্য ঘটেছে। এই মহাবীজ পরম দুর্লভ বস্তু। কামদমণির কাছে যদৃচ্ছা প্রার্থনা করলে সর্বাভীষ্ট সিদ্ধ হয়। কামদমণি ঞ্জানে এই বীজের ভজনা করা উচিত।।

Wednesday, October 15, 2014

অমরকণ্টকের মহিমা ---


অমরকণ্টক, মধ্যপ্রদেশের শাডোল জেলার পুষ্পরাজগড় তহশিলের দক্ষিণ পূর্বে মেকল পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত। এটি সমুদ্রতল থেকে ৩৫০০ ফুট উঁচু। অমরণ্টকের উত্তরে শাডোল, দক্ষিণ-পশ্চিমে মান্দালা, দক্ষিণ-পূর্বে বিলাসপুর এই তিন জেলার মাঝামাঝি স্থানে অমরকণ্টক। উত্তরে অনুপপুর, পূর্বে পেনড্রা ও পশ্চিমে ডিনডোরী থেকে সোজা পৌঁছানো যায় অমরকণ্টকে।


অমরকণ্টক  মোক্ষদাত্রী, সর্বসিদ্ধিপ্রদায়িনী মহাকুমারী শক্তির প্রতীক মা নর্মদার উৎপত্তিস্থল। অমরকণ্টকের অপর নাম মেকল বা ঋষ্য। রুদ্রতেজাৎসমুদ্ভূতা শিবকন্যা মা নর্মদার উত্তরে বিন্ধ্য পর্বত ও দক্ষিণে সাতপুরা পর্বতমালা। এই দুই পর্বতমালার মধ্যে দিয়ে নর্মদা পশ্চিগামিনী হয়ে আরবসাগরে গুজরাট রাজ্যের অন্তর্গত ভারোচ বা ব্রোচে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এই স্থানের নাম ভৃগুকচ্ছ। 


অমরকণ্টকের চারিদিকে ঘনঘোর অরণ্যানি, সেই ভয়ঙ্কর অরণ্যানির তমসা ততধিক ভয়ঙ্কর। ভয়ঙ্কর শ্বাপদ গোষ্ঠীর উপদ্রব সহ্য করে, কণ্টকাকীর্ণ বনভূমি ও পাকদণ্ডী বেয়ে তীর্থযাত্রীদের যেতে হত এই মহাতীর্থে। কোল, ভীল, মুণ্ডা প্রভৃতি উপজাতির বাস এখানে। অমরকণ্টকের এই ঘনঘোর অরণ্যানি শাল, সেগুন, শালাই, বিজা, মহুয়া, লাখ, তেন্দুপাতা, গোঁত এবং অনেক বনৌ ঔষধিতে ভরপুর।


এছাড়া এখানেই আছে শোণ নদীর উৎপত্তিস্থল। আদিকাল থেকে নর্মদা ও শোণ দুই নদীর উদগমস্থল ছিল ঋষিমুণিদের তপস্যাভূমি।


এই নর্মদাক্ষেত্র মহাসিদ্ধপীঠ, শ্রেষ্ঠ তপস্যাস্থল। "নর্মদায়াং তপঃ কুর্যাৎ মরণং জাহ্নবীতটে" --- গঙ্গাতীরে মৃত্যু হলে জীবের উচ্চগতি হয় কিন্তু তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করতে হলে আসতে হয় নর্মদাতটে। মহাচৈতন্যময়ী চৈতন্যকারিণী নর্মদা মায়ীর কৃপা কটাক্ষ ছাড়া ঞ্জানসিদ্ধি বা কৈবল্যসিদ্ধি কখনই সম্ভব নয়।

মহর্ষি ভৃগু, মার্কণ্ডেয় থেকে আরম্ভ করে মহর্ষি পতঞ্জলি, গুরু গোবিন্দপাদ, শঙ্করাচার্য, গোরক্ষনাথজী সবাই ছুটে গিয়েছিলেন নর্মদায় তপস্যা করতে। ভারতের শ্রেষ্ঠ মহাত্মা মাত্রেই নর্মদার কৃপাসিদ্ধ, আশীর্বাদধন্য।

জগৎ সংসারে নর্মদা এমনই একমাত্র নদী যার পরিক্রমা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে কারণ পরম পরিতৃপ্ত বিধায়িনী, পরম সুখ ও আনন্দদায়িনী, মহাকুমারী শক্তির প্রতীক হলেন, মা নর্মদা।


তাই বৈদিক ঋষিরা ঘোষণা করেছেন ---



নর্মদা সরিতাং শ্রেষ্ঠা রুদ্রতেজাৎ বিনিঃসৃতা।
তারয়েৎ সর্বভূতানি স্থাবরানি চরানি চ।।

নর্মদা সমস্ত নদীকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ; রুদ্রের তেজ হতে সমুৎপন্না, স্থাবর জঙ্গম সমস্ত কিছুই তিনি ত্রাণ করেন।

"সর্বসিদ্ধিমেবাপ্নোতি তস্যা তটপরিক্রমাৎ" --- শুদ্ধচিত্তে তাঁর তট পরিক্রমা করলে সর্বসিদ্ধি করায়ত্ত হয়।


****** নর্মদা --- মধুনিস্যন্দিনী সংস্কৃত ভাষায় ঋষিদের অত্যন্ত তাৎপর্যময় এই শব্দটি মূর্তিমতী "গায়েত্রী" র মতই ত্র্যক্ষরা। নর্মন্‌ ধাতু হতে শব্দটি নিষ্পন্ন, নর্মন্‌ দদাতি ইতি নর্মদা। নর্মন হচ্ছে নৃ ধাতুর উত্তর মন্‌ ও কর্তৃবাচ্য। নর্ম মানে হচ্ছে ক্রিয়া, নর্ম মানে হচ্ছে খেলা, প্রিয়ত্ব বা বিহার। নর্ম --- দা + ড = নর্মদা। নর্মন্‌ দদাতি অর্থাৎ আনন্দ-বিলাস যিনি দান করেন। ব্রহ্মের যে আনন্দ-বিলাস, জগৎ জুড়ে যে আনন্দের লীলা চলছে। উপনিষৎ বলছে --- আনন্দ থেকে জাত, আনন্দের বুকেই সবাই আছে। অন্তে এই আনন্দেই সব লয় পাবে --আনন্দ ব্রহ্মের সেই অলৌকিক আনন্দ-বিলাস দেখবার, বুঝবার এবং অনুভব করার ক্ষমতা যিনি দান করেন --- তিনিই নর্মদা।


https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191



Monday, October 13, 2014


"সন্ত সহহী দুখ পরহিত লাগী। 
পরদুখ হেতু অসন্ত অভাগী।
ভূ-রজ তরু সম সন্ত কৃপালা। 
পরহিত নিত সহ বিপতি বিসাসা।।"

সন্তপুরুষ পরহিতের জন্য দুঃখ সহ্য করেন আর অভাগা অসন্ত ব্যক্তি পরের দুঃখের হেতু। কৃপালু সন্ত পৃথিবীর ধূলা ও তরুর সমান; তিনি পরহিতের জন্য নিত্য মহা বিপত্তি সহ্য করেন।


"কমঠ পীঠি জামহিঁ বরুবারা।
বন্ধ্যাসুত বরু কাহুহি মারা।।
ফুলহিঁ নভ বরু বহু বিধি ফুলা।
জীবন লহ সুখ হরি প্রতিকূলা।।"

কচ্ছপের পিঠে চুল হওয়া, বন্ধ্যার পুত্র হওয়া আর আকাশে ফুল ফোটার মত অসম্ভব ব্যাপারও সম্ভব হতে পারে, কিন্তু হরি প্রতিকূল সুখ পাওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়।


Saturday, October 4, 2014


"তপোভূমি  নর্মদা" র  পক্ষ  থেকে  সমস্ত  পাঠককে  জানাই  শুভ  বিজয়ার  প্রীতি  ও  শুভেচ্ছা।