Wednesday, August 15, 2012

যোগসিদ্ধি--গুরুরা পারেন না !!!


সিদ্ধ  গুরুদের  ঋদ্ধি  ও  সিদ্ধি  করতলগত  হলেও  তাঁরা  বলেন------

1. আমি ভাগ্য  গণনা  করতে  পারি  না।

2. টাকা  পয়সা  দিতে  পারি   না।

3. মমলা-মোকদ্দমায়  জয়  দিতে  পারি  না।

4. ছেলের  চাকরী  ও  মেয়ের  বিয়ে  কবে  হবে  বলতে  পারি  না।

5. আলুর দোকানে  পটল, পটলের দোকানে  জিলিপি, জিলিপির  দোকানে  রেভিনিউ  কি  পাওয়া  যায়? ঠিক  সেইরকম  পরমার্থের  দরবারে  অর্থ  চাইলে  পাবে  না  হে, পাবে  না।

6. এই স্বার্থপর  জগতে  প্রকৃত  প্রেম  বলে  কিছু  নেই। এ  জগতে  কেউ  কাউকে  ভালবাসে  মানে  তার  পিছনে  স্বার্থ  আছে। প্রেমময়  পুরুষকে লাভ  করতে  হলে  চাই  প্রাণের  আকুতি, গভীর  প্রেম  এবং  গুরুর  কৃপা  আর  চাই  শ্রদ্ধা, কঠোর  সংযম  ও সাধনা।

7.  আমাকে  তোমার  Charitable  dispensary  বা  Employment  exchange  এ  পরিণত  কোর  না।

8.  আমি নর্মদা  মায়ীর  একটা  পাণ্ডা  ছাড়া  আর  কিছুই  নই।  যে  সে  পথে  চলতে  চাইবে, আমি  তার  সহায়। আমি  কেবলমাত্র  পথ  দেখিয়ে  মন্দির  দুয়ার  পর্যন্ত্য  পৌঁছে  দিতে  পারি।  আর  কিছু  পারি  না।

9. ভক্তি  ভালো, তবে ভক্তির  ভাঁড়ামো  ভালো  নয়। ধর্মে  উচ্ছ্বাস আবেগের  স্থান  নেই।  ভক্ত  হতে  হলে  গুপ্ত  হতে  হবে।


প্রকৃত  প্রেম  যেমনি  মোহন।
তেমনি  কঠোর  তেমনি  গোপন।।


10. আমার  লোক  তৃষ্ণাও  যত,  লোক  ভয়ও  তত। যারা ভজন-ভুখা, আমি  তাদের  জন্য  তৃষিত  চাতকের  মত  আকুল  প্রতীক্ষায় আছি  আর  যারা  ভোজনের  ভুখা  তাদেরকে  আমার  বড্ড  ভয় করে।

11. মনে  রেখ  ঋষিরা  এক  হিসাবে  বড়  বিপজ্জনক  ব্যক্তি। তিনি  তোমার  কর্ম  adjust করতে  জানেন। কিন্তু  তুমি  তাঁর  কাছে  যত  স্বার্থের  বক্‌বকম্‌  করবে  ততই  তিনি  তোমার  কর্মের  বিন্দু  থেকে  সরে  আসবেন। তুমি  ফাঁসবে, তুমি  ডুববে। পরপর  কর্মের  ঢেউ-এ  তুমি  হাঁসপাঁশ  করবে। আর  যদি  নীরব  থাক----শুধু  চুপিসারে  যাও  আস, তাহলে  তিনি  প্রতি  দৃষ্টিপাতে  কর্মবিন্দুটি  তরল  করে  দেবেন। তখন  দুঃখটাকে  সেইমত  ভোগ  করিয়ে  নিয়ে  তোমার  কুঁড়েঘরে  সুখের  জ্যোৎস্না  এনে  দেবেন।

12. শালগ্রাম  শিলা  দিয়ে  বাটনা  বাটতে  বা  মশারির  পেরেক  পুঁততে  চেও  না। সাধুরা  রয়েছেন  তোমাকে  অমৃতের  দেশে  অভয়  আনন্দলোকে  নিয়ে  যেতে। তাঁকে  সংসারের  তুচ্ছ  কামনা- বাসনা  পূরণে  লাগিও  না।

13. প্রেমময়  "প্রীতম" কে  ভালবাসতে  হলে  প্রথমে  চিত্তশুদ্ধির  প্রয়োজন। অন্তর  যদি  সর্বত্র  কলুষিত  ও  কর্দমাক্ত  থাকে  তবে  তিনি  বসবেন  কোথায়।  প্রথমে  তাঁকে  বসার  মত  একটু  "ঠাঁই"  না  দিলে অর্থাৎ  তাঁর  প্রতি  একটু  টান  না  থাকলে  তিনি  বসতে  পারেন  না।  তিনি  প্রেমের  কাঙাল  অথচ  স্বার্থপর  জগতে   কারও  এতটুকু  প্রেম  তাঁর  প্রতি  আছে?  তিনি  চান  আমাদের  কাছে  প্রেম  আর  ভক্তি। আমার  যত  কাদাই   মাখিনা  কেন  তাঁকে  যদি  একটু  আসন  পেতে  বসবার  স্থান  করে  দিতে  পারি, তিনি  সমস্ত  কর্দম  ও  কলুষ  পরিষ্কার  করে  তাঁর  জিনিষ  তাঁর  কাছে  টেনে  নেন।


https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191




Monday, August 6, 2012

নাই  আভরণ  এমন  কথা  কেউ  এনো  না  মুখে  আর।
রেবা  মা-ই  করতে  পারেন  অলংকারের  অহংকার।
এ  জগৎ  বটে  মা  তোমার  অলংকারের  সাজানো  থাল,
প্রাতর্মধ্যসায়ংকাল  সাজায়ে  দেন  মহাকাল;
আবার  নিশাকালে  বদলে  পরায়
তাতে  আলো  আঁধার  দুই-ই  দেখা  যায়,
বল্‌  মা  তবে  কার  মা  ভাব  আছে  এত  অলংকার!
কে  বলে  মোর  রেবা  মায়ের  অলংকারের  অপ্রতুল,
পরেন  তিনি  স্থির  তড়িতের  সুতায়  গাঁথা  তারার  ফুল,
পরে  থাকেন  মা  নর্মদা  ইন্দ্রধনুর  একাবলী,
স্বয়ং *বৈজয়ন্তী  হয়ে  পরবেন  কেন  বৈজয়ন্তী-নোলী?
জীবের  জীবন  নাসার  নোলক  তা ত  জানে  সর্বজন,
পদ্মপাত্রে  জলের  মত  দোলে  যে  তা  সর্বক্ষণ।
ঞ্জান  সমুদ্রের  মহারতন, শ্রুতি  যে  তাঁর  কর্ণভূষণ
মুকুট  যে  তাঁর  সদানন্দ  নাশেন  ভবের  যতেক  কালি।
বারভয়  মার  হাতের  বলয়  তা  ত  সবার  জানা  কথা,
মা  যে  করুণার  কঙ্কণ  পরেন,  মুক্তিফলের  মালা  গাঁথা;
মায়া- মন্ত্রে  কায়া  ঢাকি, সদা  সংগোপনে  থাকি
নিতম্বে  সতত  পরি  সপ্তসিন্ধুর  চন্দ্রহার।
অষ্টসিদ্ধির  নুপূর  পরেন, তাইতে  মায়ের  অনুরাগ,
পুণ্যগন্ধস্বরূপিনী  স্বয়ং  শ্রী  মা'র  অঙ্গরাগ।
ব্রহ্মাত্মায়ের  অলক্তের  জল, কেশব  তাঁহার  চোখের  কাজল
কালানল  তাম্বুল  তিনি  চর্বণ  করেন  বারংবার।।
গোবিন্দ  দেখেছে  মাগো  সুধাইলে  বলবে  সেও,
বাছা  বাছা  কাঁচা  মেঘের  আমলা  বেটে  মাথায়  দাও।
পোহাইলে  বিভাবরী  শিশু-সূর্যের  সিঁন্দুর   পরি
চাঁদ  বেটে  চন্দনের  ফোঁটা  দিয়ে  থাক  অনিবার।।
কে  বলে  তুমি  কেবল  নীরাকারা, নাইকো  তোমার  অলংকার!