Monday, August 6, 2012

নাই  আভরণ  এমন  কথা  কেউ  এনো  না  মুখে  আর।
রেবা  মা-ই  করতে  পারেন  অলংকারের  অহংকার।
এ  জগৎ  বটে  মা  তোমার  অলংকারের  সাজানো  থাল,
প্রাতর্মধ্যসায়ংকাল  সাজায়ে  দেন  মহাকাল;
আবার  নিশাকালে  বদলে  পরায়
তাতে  আলো  আঁধার  দুই-ই  দেখা  যায়,
বল্‌  মা  তবে  কার  মা  ভাব  আছে  এত  অলংকার!
কে  বলে  মোর  রেবা  মায়ের  অলংকারের  অপ্রতুল,
পরেন  তিনি  স্থির  তড়িতের  সুতায়  গাঁথা  তারার  ফুল,
পরে  থাকেন  মা  নর্মদা  ইন্দ্রধনুর  একাবলী,
স্বয়ং *বৈজয়ন্তী  হয়ে  পরবেন  কেন  বৈজয়ন্তী-নোলী?
জীবের  জীবন  নাসার  নোলক  তা ত  জানে  সর্বজন,
পদ্মপাত্রে  জলের  মত  দোলে  যে  তা  সর্বক্ষণ।
ঞ্জান  সমুদ্রের  মহারতন, শ্রুতি  যে  তাঁর  কর্ণভূষণ
মুকুট  যে  তাঁর  সদানন্দ  নাশেন  ভবের  যতেক  কালি।
বারভয়  মার  হাতের  বলয়  তা  ত  সবার  জানা  কথা,
মা  যে  করুণার  কঙ্কণ  পরেন,  মুক্তিফলের  মালা  গাঁথা;
মায়া- মন্ত্রে  কায়া  ঢাকি, সদা  সংগোপনে  থাকি
নিতম্বে  সতত  পরি  সপ্তসিন্ধুর  চন্দ্রহার।
অষ্টসিদ্ধির  নুপূর  পরেন, তাইতে  মায়ের  অনুরাগ,
পুণ্যগন্ধস্বরূপিনী  স্বয়ং  শ্রী  মা'র  অঙ্গরাগ।
ব্রহ্মাত্মায়ের  অলক্তের  জল, কেশব  তাঁহার  চোখের  কাজল
কালানল  তাম্বুল  তিনি  চর্বণ  করেন  বারংবার।।
গোবিন্দ  দেখেছে  মাগো  সুধাইলে  বলবে  সেও,
বাছা  বাছা  কাঁচা  মেঘের  আমলা  বেটে  মাথায়  দাও।
পোহাইলে  বিভাবরী  শিশু-সূর্যের  সিঁন্দুর   পরি
চাঁদ  বেটে  চন্দনের  ফোঁটা  দিয়ে  থাক  অনিবার।।
কে  বলে  তুমি  কেবল  নীরাকারা, নাইকো  তোমার  অলংকার!







1 comment:

  1. Pranam to Mata Narmada!
    Pranam to the sages graced by Her!

    ReplyDelete