Thursday, November 25, 2010

COMMENTS ON TAPOBHUMI NARMADA


দিবাপতি ঘোষাল (সোনারপুর)

শ্রী আপনার বাবা আমার ঘোষালদা (জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সমান)
"তপোভূমি নর্মদা"-র কোন তুলনা হয় না। যা লিখেছেন ও জ্বলন্ত বর্ণনা দিয়েছেন তা ভাবা যায় না --- একেবারে অনবদ্য। তুলনামূলকভাবে এরকম বই আমি জীবনে পড়িনি। খুবই উচ্ছ্বসিত, বিস্মিত একাধারে মুগ্ধ হয়ে পড়েছি। যা হোক-আমাদের 'ঘোষাল'(বাৎস্য গোত্র) বংশের এমন উজ্জ্বল দলিল, গৌরবের বস্তু হয়ে রইল। গোত্রের মুখ উজ্জ্বল হল। দ্বিতীয় এরকম আর হবে না। অনুপমেয় হয়ে রইল আমাদের বংশপরাক্রমে এই বইগুলো অমূল্য সম্পদ। গৌরবের দুর্লভ বস্তু হয়ে থাকবে ও চির রক্ষিত হয়ে থাকবে এবং রাখতে হবে। এটাই আমার ও আমাদের কাম্য হওয়া উচিত।

অশোক হাজারী  (কাসুন্দিয়া)

বইটি আক্ষরিক অর্থে আমাকে সন্মোহিত করে রেখেছে। মনের প্রচ্ছন্ন এবং বাক্‌-রূপে প্রকাশিত অংশে কিরূপে বা কি গভীর প্রভাব ফেলেছে, এবং দিনে দিনে ফেলছে, তা প্রকাশ করা শক্ত।

দেবলীনা চ্যাটার্জী  (শ্রীরামপুর)

আমি আমার জীবনে অনেক বই পড়েছি। কিন্তু এই বইটির মত কোন বই পড়িনি। বইটি পড়ে মনে হল অনেক কিছু না জানার বন্ধ দরজাটা খুলে গেল। জীবনের অনেক কিছুর না জানার উত্তর বইটি পড়ে পেয়ে গেলাম। বইটি পড়ে চোখের সামনে সেই সব লেখাগুলো ছবির মত ভেসে উঠল যা আমার মত একজন সামান্য মানুষের কল্পনার বাইরে।আমার মনে হয় এই বইটি প্রত্যেকটা মানুষের পড়া উচিত। একটা করে "তপোভূমি নর্মদা" সবার ঘরে রাখা উচিত। আমি আমার চেনা অনেক মানুষকে বলেছি এই বইটি পড়তে । আমি হলাম একটা কুয়োর ব্যাঙ, এই বইটি হল আমার আকাশ। বইটি পড়ার পর খুব অমরকণ্টক, হাপেশ্বরের মন্দির, শূলপানিশ্বরের মন্দির, সীতামায়ীর জঙ্গলে সীতামায়ীর মূর্তি দর্শন করতে ইচ্ছা করে। নর্মদা মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাই একবার যেন নর্মদামায়ের জলময়ী রূপেরই দর্শন পাই। জানি না "মা" আমার কৃপা করবেন কিনা।

বইটি যখন পড়ি তখনই প্রণাম জানাই সেই মহান মানুষটিকে যাঁর লেখনী আমাদের জানিয়েছে যোগের বিশ্বকোষকে, নর্মদা মাতার মাহাত্ম্যকে, কত অলৌকিক অদ্ভূত জিনিষকে। যদি এই মহান মানুষটি বেঁচে থাকতেন তাহলে তাঁকে একবার অন্তত যে করেই হোক দর্শন করে প্রণাম করতে যেতাম। তাঁর সান্নিধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করতাম।তিনি নেই, তাঁর সান্নিধ্য না পাওয়াটা আমার দুর্ভাগ্য।

অমিতা


তপোভূমি নর্মদা বইটি অমৃতরসের ভাণ্ডার। এই ভাণ্ডারের কোন শেষ নেই। এই বই যত পাঠ করা যায় তত জ্ঞানের স্ফুরণ ঘটে। মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। মনে হয়েছে যেন ছুটে নর্মদা মার কোলে চলে যাই। মাকে স্পর্শ করি, প্রণাম করি, তাঁর দর্শন করি। লেখকের ভাষায় যে কি জাদু ছিল জানি না যা দিয়ে তিনি আমায় ভাসিয়ে নিয়ে গেলেন নর্মদা তটে। আমি সামান্য একজন গৃহবধূ। যার গণ্ডিটা চার দেওয়ালে আবদ্ধ। আমার জীবনে খোলা হাওয়া হল এই বই। ভাল বই পড়লে মন ভরে উঠে। লেখকের ভাষা এত সুন্দর আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষের এই বই পড়া উচিত। মহর্ষি তণ্ডি প্রকটিত সহস্রনাম প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।