Monday, June 20, 2016


"অতীতের নেপথ্য হইতে
অযাচিত করুণার মত
এসেছিলে হাসিতে হাসিতে
ভুলাইতে পথক্লেশ যত।

কি জানি, কি রহস্য জড়িত,
এই অন্ধ মানব-জীবন!
কোন দিব্য-প্রেমে নিয়ন্ত্রিত,
পর কেন হয় গো আপন?

অজানিত অতিথির কাছে
মুক্ত করি হৃদয়-ভাণ্ডার,
সুখ দু:খ সঞ্চিত যা আছে,
সমাদরে দিলে উপহার!

নিরাশায় হয়ে প্রতিহত 
তব পাশে আসিনু যখন;
মায়াময়ী জননীর  মত
স্নেহাঞ্চলে করিলে ব্যজন।

যদি এই আশ্রিতে তোমার,
হেরিয়াছ স্নেহের নয়নে;
তবে এরে ভুলিও না আর ---

Wednesday, June 1, 2016


শাস্ত্রে, যোগীর দুর্ঞ্জেয় যোগবলের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে --- 

যদ্‌ দুষ্করং যদ্‌ দুরাপং যদ দুর্গং যচ্চ দুস্তরম্‌।
সর্বং তৎ তপসা সাধ্যং তপো হি দূরতিক্রমম্‌।। 

অর্থাৎ যা কিছু দুঃসাধ্য, দুর্লভ, দুর্গম এবং দুস্তর --- সে সকলই তপস্যার দ্বারা লাভ করা যায়। তপস্যার শক্তি অলঙ্ঘ্য। যোগীর যোগবল সাধারণ মানুষের ঞ্জানবুদ্ধির অগোচর। ভৃগু, দুর্বাশা, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য প্রভৃতি ঋষিদের যোগবলের কাছে রাজচক্রবর্তী ও সম্রাট থেকে আরম্ভ করে দুর্ধর্ষ দেব দৈত্য রাক্ষসরা পর্যন্ত নতশির থাকতেন। তপোসিদ্ধ মহাযোগীরা প্রকৃতির অধীন নন, তাঁরা প্রকৃতির নিয়ামক বা অধীশ্বরের সঙ্গে নিত্যযুক্ত থাকার ফলে তাঁরা ইচ্ছা করলে প্রকৃতিকেও নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। পাতঞ্জল যোগদর্শনে যোগীর এই শক্তি বা বিভূতিকে বলা হয়েছে --- প্রকৃতি-বশিত্ব। প্রকৃতি-বশিত্ব যাঁদের করায়ত্ত থাকে, তাঁরা সহসা প্রকৃতির উপর হস্তক্ষেপ করেন না, প্রাকৃতিক নিয়মের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করাই বিধি।

www.twitter.com/tapobhumi30

www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191

www.anandatapobhuminarmada.blogspot.com