শাস্ত্রে, যোগীর দুর্ঞ্জেয় যোগবলের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে ---
যদ্ দুষ্করং যদ্ দুরাপং যদ দুর্গং যচ্চ দুস্তরম্।
সর্বং তৎ তপসা সাধ্যং তপো হি দূরতিক্রমম্।।
অর্থাৎ যা কিছু দুঃসাধ্য, দুর্লভ, দুর্গম এবং দুস্তর --- সে সকলই তপস্যার দ্বারা লাভ করা যায়। তপস্যার শক্তি অলঙ্ঘ্য। যোগীর যোগবল সাধারণ মানুষের ঞ্জানবুদ্ধির অগোচর। ভৃগু, দুর্বাশা, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য প্রভৃতি ঋষিদের যোগবলের কাছে রাজচক্রবর্তী ও সম্রাট থেকে আরম্ভ করে দুর্ধর্ষ দেব দৈত্য রাক্ষসরা পর্যন্ত নতশির থাকতেন। তপোসিদ্ধ মহাযোগীরা প্রকৃতির অধীন নন, তাঁরা প্রকৃতির নিয়ামক বা অধীশ্বরের সঙ্গে নিত্যযুক্ত থাকার ফলে তাঁরা ইচ্ছা করলে প্রকৃতিকেও নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। পাতঞ্জল যোগদর্শনে যোগীর এই শক্তি বা বিভূতিকে বলা হয়েছে --- প্রকৃতি-বশিত্ব। প্রকৃতি-বশিত্ব যাঁদের করায়ত্ত থাকে, তাঁরা সহসা প্রকৃতির উপর হস্তক্ষেপ করেন না, প্রাকৃতিক নিয়মের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করাই বিধি।
www.twitter.com/tapobhumi30
www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191
www.anandatapobhuminarmada.blogspot.com
No comments:
Post a Comment