Monday, September 28, 2015

"আদি শূলপাণিশ্বর" ---


আদি শূলপাণিশ্বরের মহিমা অনন্ত। তাঁকে মহাজাগ্রত জ্যোতির্লিঙ্গের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই জ্যোতির্লিঙ্গের লক্ষণগুলি হল --- 


১) স্নানার্থ লিঙ্গ মস্তকে জল দিলেই লিঙ্গ মধ্যে বিস্ফুলিঙ্গ স্পন্দিত হতে দেখা যায়।  ২) লিঙ্গের অঙ্গে তৈল বিন্দু নিক্ষেপ করলে তা স্থির থাকেন, কদাপি নিসর্পিত হয় না অর্থাৎ গড়িয়ে পড়ে না।  


শূলপাণি ক্ষেত্র ভগবান সূর্যনারায়ণের তপস্যাক্ষেত্র বলে, আদি শূলপাণিশ্বরকে কেউ কেউ হিরণ্যপাণি বলে থাকেন। শিবলিঙ্গটি সুবর্ণ জ্যোতিতে ভাস্বর বলে সুবর্ণলিঙ্গ নামে জগৎ প্রসিদ্ধ হয়েছে। পরিক্রমাকারী সাধু বিশেষতঃ দণ্ডী সন্ন্যাসীদেরকে স্বহস্তে পূজা করতে দেওয়া হত। শূলপাণিশ্বর মহাদেবের মর্যাদা ওঁকারেশ্বরের সমতুল্য। জ্যোতির্লিঙ্গ বিশ্বনাথের কাশীক্ষেত্র যেমন পঞ্চক্রোশ বিশিষ্ট, তেমনি শূলপাণি মহাদেবের ক্ষেত্রও পঞ্চক্রোশ বিশিষ্ট। উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর জ্যোর্তিলিঙ্গের যেমন ভস্মারতি হয় তেমনি শূলপাণিশ্বর মহাদেবেরও ভস্মারতি হত, যা কেবল পরিক্রমাবাসী এবং সন্ন্যাসীদের দর্শনের অধিকার ছিল। 


নর্মদাতে বাঁধ দেওয়ার ফলে হিরণ্যগর্ভ শূলপাণিশ্বর মহাদেব আজ নর্মদা গর্ভে নিমজ্জিত হয়েছেন। তাই শূলপাণি ক্ষেত্রে শূলপাণিশ্বরের অনুরূপ বলে আর এক শূলপাণিশ্বরের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। 



www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191


www.twitter.com/tapobhumi30


www.anandatapobhuminarmada.blogspot.com  (Hindi)



Monday, September 7, 2015

"ভস্মারতি" ---


"......... মন্দিরে যখন পৌঁছালাম, তখন প্রাত্যহিক সন্ধ্যারতি শুরু হয়ে গেছে। নাঙ্গা মহাত্মার সঙ্গে সকলেই হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে আছেন। আরতির শেষে নাঙ্গা বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এলাম। এসেই রঞ্জন এবং বাসবানন্দজী হৈ হৈ করে বলে উঠলেন --- আমরা ত সব এক সঙ্গেই আছি, আপনাদের পঞ্চক্রোশী পরিক্রমার বিবরণ যে কোন সময় শুনে নিতে পারব, আপনারা নিরাপদে ফিরে এসেছেন এতেই আপাততঃ নিশ্চিন্ত হয়েছি। বাব্‌বা! সারাদিন আমাদের কি দুশ্চিন্তাতেই না কেটেছে! স্বয়ং পুরোহিতজীও ঐ দুর্গম জঙ্গলের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন। যাই হোক, এ দিকে একটা মজার সংবাদ শুনুন ---

আজ রাত্রি সাড়ে ৩টের সময় শূলপাণিশ্বরের ভস্মারতি হবে। আপনারা পরিক্রমা করে একেবারে সন্ধ্যার মুখে ফিরে এলেন, তাই পুরোহিতজী আমাদেরকে জানাবার সুযোগ পাননি। এ জিনিষ নাকি শিবময় ভারতবর্ষের আর কোন মন্দিরে হয় না। এখানে একজন অঘোরী শিবসাধক থাকেন। তিনি প্রতি সোমবার শেষ রাত্রে ভস্ম নিয়ে পৌছান। কোন সন্ন্যাসীর দেহান্ত হলে অগ্নিতে তাঁর মৃতদেহ সৎকারকালে সর্বাঙ্গ ভস্মীভূত হয়ে গেলে, তাঁর ব্রহ্মতালু যখন ফেটে যায়, সেই ভস্মীভূত ব্রহ্ম তালু সংগ্রহ করে। সেই ভস্ম দিয়ে শূলপাণীশ্বরের আরতি হয়। ঐ আরতি দর্শনের অধিকার কোন স্ত্রীলোক বা গৃহীর নেই। শুধু পরিক্রমাবাসী এবং সন্ন্যাসীদের তা দর্শনের অধিকার আছে।

আমি বললাম --- শুধু এই মন্দিরেই ভস্মারতি হয়, ভারতের আর কোন মন্দিরে হয় না, একথা  মানতে পারলাম না। উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে সপ্তাহে শুধু একদিন মাত্র নয়, প্রতিদিনই সেখানে রাত্রি ৩ টের সময় ভস্মারতি শুরু হয়। মহাকাল মন্দিরে একজন অঘোরপন্থী সাধক আছেন তিনি সারা সপ্তাহ ধরে ভস্মারতির ভস্ম সংগ্রহ করে থাকেন, এক বিশেষ নিয়মে। সেই আরতি দর্শনকালে মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নেই। তবে পুরুষ গৃহীরা তা দর্শন করতে পারে। অবগাহন স্নান কিংবা সেখান কার কোটিতীর্থের জল মাথায় ছিটিয়ে আরতি দেখার নিয়ম। কোটিতীর্থের মধ্যে ৫০ ফুট বা ১০০ ফূট দীর্ঘ এক সুবিশাল ত্রিশূল প্রোথিত আছে।

তোমার কথা সম্পূর্ণ সত্য। তবে এই মন্দিরে আরতিকালে মহর্ষি জৈগীষব্য কৃত একটি স্তোত্র এবং সামবেদের একটি মন্ত্র পাঠ হয় বিশুদ্ধ সুর ও স্বর সংযোগে সে জিনিষ মহাকালেশ্বর মন্দিরেও হয় না। এখানকার পুরোহিত মশাইকে জিঞ্জাসা করলেই জানতে পারবেন, ভস্মারতির জন্য প্রতি সোমবার তাঁকে সারাদিন রাত নিরম্বু উপবাসে থাকতে হয়। মহাকাল মন্দিরের পুরোহিতরা সন্ধ্যা থেকে উপবাসী থাকলেও দিনের বেলা নিরম্বু উপবাসে থাকেন না।"



www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191

www.twitter.com/tapobhumi30

www.anandatapobhuminarmada.blogspot.com (Hindi)

Wednesday, September 2, 2015


বিশ্বেশ্বর বিশ্বপাবন ভব, ভব-ভয়-ভঞ্জন,
মৃত্যুঞ্জয় মদন-দমন মরণ-জনম-নিবারণ।
চরণ-সরোজ নবারুণ ছটা, তাহে বিল্বদল চন্দনের ছিটা,
শার্দুল ছালে কটিতট আঁটা যোগীজন-মনোমোহন।।
গলে হাড়মালা দল দল দোলে, বব বব বম্‌ বাজে ঘন গালে 
বাজায়ে ডমরু নাচে তালে তালে, নাচে সাথে ভূত অগণন।।
পন্নগভূষা পিণাকপাণি ঝলমল ভালে জ্বলে নিশামণি,  
কুলুকুলু শিরে বহে মন্দাকিনী, ঢুলুঢুলু প্রেমে দুনয়ন।।  
সৃষ্টিলয়কারী জগৎ পিতা, ঞ্জানময় প্রেম ভক্তিদাতা, 
এ দীন সন্তানে ভুলে আছ কোথা, নিজ গুণে দাও দরশন।।
বিশ্বেশ্বর বিশ্বপাবন ভব ভব-ভয়-ভঞ্জন।।