Cont (Last) ......
তৈত্তিরীয় আরণ্যকের "মাতৃদেবো ভব, পিতৃদেবো ভব" মন্ত্রে ঋষিরা স্পষ্ট বলেছেন --- পিতা মাতাকে দেবতা বলে মানবে, প্রতিদিন তাঁদের সেবা যত্ন করবে। পিতৃপূজা বা মাতৃপূজা সর্বতোভদ্র, সর্বকল্যাণকর। পিতা বা মাতা তুষ্ট হলে দেবতা প্রীত হন, ধনে জনে সৌভাগ্যে গোত্র বর্ধিত হয়। বংশে কেউ দীন হয় না। কেউ অসুখী থাকে না। পিতৃপূজায় শান্তি হয়, মানুষ যা কামনা করে তাই পায়। আরোগ্য, অশোক, অভয়, সৌভাগ্য --- পিতৃপুরুষের দুর্লভ দান।
মহর্ষি পতঞ্জলি বলেছেন ---
"সংস্কার-সাক্ষাৎকরণাৎ পূর্বজাতিঞ্জানম্" --- সংস্কার সাক্ষাৎকার করলে পূর্বজাতিঞ্জানরূপা বিভূতির আবির্ভাব হয়। চিত্ত ক্ষেত্রে অহরহ যে সকল বাসনা ফুটে উঠেছে সেগুলির নাম সংস্কার। সংস্কার শব্দের সাধারণ অর্থ দাগ বা চিহ্ন। এই সংস্কারগুলির ফলেই মানুষের স্বরূপ বিস্মৃতি। কোন সাধকের চিদাকাশে গতি হলে পূর্ব পূর্ব জন্ম ও জাতির সমূহ সংস্কার তিনি দেখতে পান, সাক্ষাৎ মাত্রই সেই সব সংস্কারের বন্ধন হতে মুক্ত হন। কিন্তু এই অবস্থা লাভের জন্য চাই দৃঢ় সংযম এবং সুদৃঢ় ধ্যান-নিষ্ঠা। যা সর্ব সাধারণের পক্ষে সহজসাধ্য নয়।
বৈদিক ঋষিরা বলেছেন --- পিতৃপূজায় স্মৃতির জাগরণ ঘটে। মানুষের স্মৃতি চৈতন্যের একটা সঞ্চয়-ঘর। সেখানে ঘুমিয়ে আছে অনেক কালের স্মৃতি, অদূর কালের, দূরবর্তী কালের, জন্ম-জন্মান্তরের। মানুষের আত্মঞ্জানলাভের পথ সুগম হয় জন্ম-জন্মান্তরের স্মৃতির জাগরণে। পিতৃগণের পূজায় এই জাগৃতি ঘটে, সহসা ঘটে চিদাকাশে উত্তরণ।
এত সহজে এত অব্যর্থ ফল প্রাপ্তি ঘটে বলে পিতৃমহিমায় মুগ্ধ মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষিরা পিতৃপূজাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাঁরা যেকোন দেবপূজা, যাগযঞ্জ, এমন কি ব্রহ্মধ্যানে সমাহিত হওয়ার পূর্বক্ষণেও সর্বাগ্রে পিতৃপুরুষের ধ্যানপূজা করতেন। পিতৃপূজা ছাড়া বৈদিক ব্রহ্মমার্গের পথ উন্মুক্ত হয় না, জাগ্রত হয় না উত্তর সুষুম্নার পথ।সত্যদর্শনের জন্য যে হিরণ্ময় পাত্রের আবরণ উন্মোচনের কথা ঈশোপনিষদে বলা হয়েছে --- সেই দ্বার অপাবৃত হয় পিতৃপূজায়।
স্বয়ং বেদমূর্তি ভগবান বেদব্যাস মহাভারতে ভীষ্মের মুখ দিয়ে যুধিষ্ঠিরকে উপদেশ ছলে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন ---
মহর্ষি পতঞ্জলি বলেছেন ---
"সংস্কার-সাক্ষাৎকরণাৎ পূর্বজাতিঞ্জানম্" --- সংস্কার সাক্ষাৎকার করলে পূর্বজাতিঞ্জানরূপা বিভূতির আবির্ভাব হয়। চিত্ত ক্ষেত্রে অহরহ যে সকল বাসনা ফুটে উঠেছে সেগুলির নাম সংস্কার। সংস্কার শব্দের সাধারণ অর্থ দাগ বা চিহ্ন। এই সংস্কারগুলির ফলেই মানুষের স্বরূপ বিস্মৃতি। কোন সাধকের চিদাকাশে গতি হলে পূর্ব পূর্ব জন্ম ও জাতির সমূহ সংস্কার তিনি দেখতে পান, সাক্ষাৎ মাত্রই সেই সব সংস্কারের বন্ধন হতে মুক্ত হন। কিন্তু এই অবস্থা লাভের জন্য চাই দৃঢ় সংযম এবং সুদৃঢ় ধ্যান-নিষ্ঠা। যা সর্ব সাধারণের পক্ষে সহজসাধ্য নয়।
বৈদিক ঋষিরা বলেছেন --- পিতৃপূজায় স্মৃতির জাগরণ ঘটে। মানুষের স্মৃতি চৈতন্যের একটা সঞ্চয়-ঘর। সেখানে ঘুমিয়ে আছে অনেক কালের স্মৃতি, অদূর কালের, দূরবর্তী কালের, জন্ম-জন্মান্তরের। মানুষের আত্মঞ্জানলাভের পথ সুগম হয় জন্ম-জন্মান্তরের স্মৃতির জাগরণে। পিতৃগণের পূজায় এই জাগৃতি ঘটে, সহসা ঘটে চিদাকাশে উত্তরণ।
এত সহজে এত অব্যর্থ ফল প্রাপ্তি ঘটে বলে পিতৃমহিমায় মুগ্ধ মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষিরা পিতৃপূজাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাঁরা যেকোন দেবপূজা, যাগযঞ্জ, এমন কি ব্রহ্মধ্যানে সমাহিত হওয়ার পূর্বক্ষণেও সর্বাগ্রে পিতৃপুরুষের ধ্যানপূজা করতেন। পিতৃপূজা ছাড়া বৈদিক ব্রহ্মমার্গের পথ উন্মুক্ত হয় না, জাগ্রত হয় না উত্তর সুষুম্নার পথ।সত্যদর্শনের জন্য যে হিরণ্ময় পাত্রের আবরণ উন্মোচনের কথা ঈশোপনিষদে বলা হয়েছে --- সেই দ্বার অপাবৃত হয় পিতৃপূজায়।
স্বয়ং বেদমূর্তি ভগবান বেদব্যাস মহাভারতে ভীষ্মের মুখ দিয়ে যুধিষ্ঠিরকে উপদেশ ছলে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন ---
পিতৃন্ পূজ্যাদিতঃ পশ্চাৎদ্দেবতাস্তর্পয়ন্তি বৈ।
তস্মাত্তান্ সর্বযঞ্জেন পুরুষঃ পূজয়েৎ সদা।।
ঋষিরা প্রথমে পিতৃগণের পূজা করে দেবগণের পূজা করেন অতএব মানুষ সর্বদা সর্বপ্রযত্নে সর্বাগ্রে পিতৃগণের পূজা করবে।
পিতরৌ যঃ ধ্যায়েৎ স চ পুণ্যদেহী
যতির্ভূপতিব্রহ্মচারী চ গেহী।
লভেদ্ বাঞ্ছিতার্থং পদং ব্রহ্মসংঞ্জং
পিতৃপাদপদ্মে মনো যস্য লগ্নম্।।
মাতাপিতা বা পিতৃপুরুষদের যিনি ধ্যান পূজা করেন, তিনি পূণ্যবান। দীনদরিদ্র সাধারণ গৃহী হোন, রাজাই হোন কিংবা মুনি ঋষি ব্রহ্মচারী যেই হোন না কেন, পিতৃপাদপদ্মে তাঁর মন লগ্ন থাকলে তাঁর সর্বাভীষ্ট সিদ্ধ হয়, এমন কি ব্রহ্মপদও লাভ হয়।
https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191
https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191
No comments:
Post a Comment