রেবা তেরী মহিমা অতি ভারী, সকল পুরাণ ন গাই।
তেরে জলকে কঁকর পত্থর, শংকর রূপ হো জাই।।
স্বর্গীয় শ্রী শৈলেন্দ্রনারায়ণ ঘোষাল শাস্ত্রী প্রণীত "তপোভুমি নর্মদা" নিছক ভ্রমণ কাহিনী নয়। এই বই হল লেখকের জীবনের চরম উপলব্ধ সত্য। সেই দুস্তর দুর্গম তীর্থযাত্রার ফলশ্রুতি এই বই।পিতৃবিয়োগে, লেখকের জীবনের আলো এবং আনন্দের শিখা নিয়তির একটি ফুৎকারে নিভে গেল। চোখে ও বুকে তখন মরুভুমি্র জ্বালা। হাহাকার। পিতৃকৃত্য শেষ করেই গৃহত্যাগ করলেন। কন্যাকুমারিকা হতে কৈলাস-মানসসরোবর, দ্বারকার সমুদ্রতট হতে নৈমিষারণ্য; নরনারায়ণ পর্বত ও হিমালয়ের শতোপন্থ প্রভৃতি পর্যটন করে তিনি বাবার শেষ ইচ্ছা স্মরণে রেখে চলে যান অমরকণ্টক।
তখন ১৯৫২ সাল, আশ্বিন মাস। দৃঢ়সংকল্প -শাস্ত্রীয় নিয়মে নর্মদা পরিক্রমা করব, না হয় মরব। বাবার আশীর্বাদ সম্বল করে প্রায় ছয় বৎসর কাল নিরন্তর নর্মদা উভয়তটে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
লেখক পূর্ণ জলে হরি পরিক্রমাকালে নর্মদা মাতা কৃপা প্রতি পদে পদে অনুভব করেন, যা রয়েছে এই বই-এর ছত্রে ছত্রে। বর্তমানে নর্মদা পরিক্রমা দুই প্রকার- ১) রুণ্ডা পরিক্রমা ২)পূর্ণ জলে হরি পরিক্রমা।
রুণ্ডা পরিক্রমা --- নর্মদাতটের যে কোনো ঘাট হতে পরিক্রমা আরম্ভ করে নর্মদা মাতাকে দক্ষিণাবর্তে রেখে উভয়তট ঘুরে পুনরায় ঐ ঘাটে এসে সংকল্পমুক্ত হতে হয়।
পূর্ণ জলে হরি পরিক্রমা --- অমরকণ্টক হতে পরিক্রমা আরম্ভ করলে প্রথমে দক্ষিণতটে বিমলেশ্বর পর্যন্ত যেতে হবে; পুনরায় ঐখানে হতে ফিরে অমরকণ্টক আসতে পারলে তবে পরিক্রমা পূর্ণ হবে।
তখন ১৯৫২ সাল, আশ্বিন মাস। দৃঢ়সংকল্প -শাস্ত্রীয় নিয়মে নর্মদা পরিক্রমা করব, না হয় মরব। বাবার আশীর্বাদ সম্বল করে প্রায় ছয় বৎসর কাল নিরন্তর নর্মদা উভয়তটে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
লেখক পূর্ণ জলে হরি পরিক্রমাকালে নর্মদা মাতা কৃপা প্রতি পদে পদে অনুভব করেন, যা রয়েছে এই বই-এর ছত্রে ছত্রে। বর্তমানে নর্মদা পরিক্রমা দুই প্রকার- ১) রুণ্ডা পরিক্রমা ২)পূর্ণ জলে হরি পরিক্রমা।
রুণ্ডা পরিক্রমা --- নর্মদাতটের যে কোনো ঘাট হতে পরিক্রমা আরম্ভ করে নর্মদা মাতাকে দক্ষিণাবর্তে রেখে উভয়তট ঘুরে পুনরায় ঐ ঘাটে এসে সংকল্পমুক্ত হতে হয়।
পূর্ণ জলে হরি পরিক্রমা --- অমরকণ্টক হতে পরিক্রমা আরম্ভ করলে প্রথমে দক্ষিণতটে বিমলেশ্বর পর্যন্ত যেতে হবে; পুনরায় ঐখানে হতে ফিরে অমরকণ্টক আসতে পারলে তবে পরিক্রমা পূর্ণ হবে।
No comments:
Post a Comment