Wednesday, November 12, 2014

'ন মৃতা তেন নর্মদা' ------


প্রলয়কালে পৃথিবীর সমস্ত নদী এবং সমুদ্র প্রলয়পয়োধি জলে সর্ববিধ্বংশী মহাসমুদ্রে লয় হয়ে যায়। তাদের স্ব স্ব সত্তার বিলুপ্তি ঘটে। সপ্তকল্পান্তজীবী মহামুনি মার্কণ্ডেয় দেখেছিলেন কল্পান্তের মহাপ্রলয়েও নর্মদার সমগ্র সত্তার বিলুপ্তি ঘটে নি। সমস্ত কল্পেই তিনি স্বমহিমায় নিজের রূপ, রঙ ও আকার নিয়ে বিরাজিত থাকেন। 'ন মৃতা তেন নর্মদা' কোন অবস্থায় তিনি ক্ষীণ হন না, তাঁর মৃত্যু ঘটে না। তাই তাঁর নাম নর্মদা।

মহাকুমারী শক্তির প্রতীক, সৃষ্টি ও সভ্যতার বিধাত্রী এবং পালয়িত্রী দেবী  নর্মদার উৎপত্তিস্থল হল মধ্যপ্রদেশের অমরকণ্টক। অমরকণ্টক থেকে নর্মদা পশ্চিমগামিনী হয়ে আরবসাগরে গুজরাট রাজ্যের অন্তর্গত ভারোচ বা ব্রোচে গিয়ে মিলিত হয়েছে, এই স্থানের নাম ভৃগুকচ্ছ। ভৃগুক্ষেত্র, অপভ্রংশে ভড়োচ > ভারোচ > ব্রোচ। ভারোচ ভৃগুদেবের মূল স্থান হলেও হরিধাম থেকে ভারোচ পর্যন্ত সমস্ত স্থানটাই মহর্ষির তপস্যাক্ষেত্র।

সমুদ্র ও রেবার জলমূর্তি আসলে মহাদেবের অষ্টমূর্তির এক মহান মূর্তি --- অপমূর্তি বা ভবমূর্তি। হরিধামই সমুদ্র-রেবার সংগমস্থল। একদিকে মায়ের স্বচ্ছ, স্নিগ্ধ জলপ্রবাহ  অন্যদিকে সমুদ্রের নীলাভ জলপ্রবাহ এই দুই এর সংগমে হরিধাম। খাঁড়ির মধ্যে দিয়ে নর্মদা প্রবেশ করেছেন সমুদ্রে, পশ্চিম সমুদ্রের খাঁড়িকে খাম্বাটের খাঁড়ি বলা হয়।


https://www.facebook.com/pages/tapobhuminarmada/454528151310191

No comments:

Post a Comment